শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিষধর সাপের ছোবল খেয়ে সাপ ধরে সোজা হাসপাতালে যুবক

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, ক্যানিং – বিষধর সাপের ছোবল খেয়ে ভয় না পেয়ে সাপ ধরে চিকিৎসার জন্য সোজা হাসপাতালে গেলেন এক যুবক।মুহূর্তে হাসপাতাল চত্বরে হইচই পড়ে যায়।সাপের কৌট নিয়ে টেবিলে রাখতে চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগীর পরিবার পরিজনেদের চক্ষু স্থির হয়ে যায়।তড়িঘড়ি শুরু হয় চিকিৎসা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত সুভাষগ্রামের আকনা গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৫ এর যুবক বিপ্লব মন্ডল।শনিবার রাত ৭ টা নাগাদ কয়েকজন বন্ধুর সাথে গল্পগুজব করতে করতে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়িতে ফিরছিলেন।

রাতের অন্ধকার ওই যুবকের পায়ে কিছু একটা কামড় দেয়। কামড় অনুভব করতেই টর্চ জ্বেলে দেখার চেষ্টা করেন। চোখের সামনে দেখতে পায় বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ।বন্ধুবান্ধব‘রা তড়িঘড়ি সাপটি কে মেরে ফেলার চেষ্টা করে।

সাপের কামড় খেয়ে যন্ত্রণায় কাৎরাতে কাৎরাতে ওই যুবক সাপটি কে যেন না মারা হয় সেই নির্দেশ দেয়। বন্ধুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাপটি ধরে কৌটোর মধ্যে পুরে ফেলে।আর এক মুহূর্ত দেরী না করে ওই যুবকের বন্ধুরা বাইকে চাপিয়ে দীর্ঘ সাতাশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছায়।শুরু হয় চিকিৎসা।

হাসপাতাল সুত্রের খবর ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এর আগেও বহুবার সাপের কামড় খেয়ে সাপ ধরে নিয়ে এসেছেন অনেকেই। তবে সবক্ষেত্রে সাপ মেরে দিয়েই নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় খেয়ে জীবন্ত সাপ ধরে আনার ইতিহাস এর আগে নেই।

বর্তমানে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। তাকে বর্তমানে ২০ টি এভিএস দেওয়া হয়েছে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সমরেন্দ্র নাথ রায় বলেন ‘বর্তমানে সাধারণ মানুষ সচেতন হচ্ছেন। তা না হলে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপের কামড় খেয়ে কেউ জীবন্ত সাপ ধরে হাসপাতালে আসে!তবে আশার আলো আগামীদিনে সাধারণ মানুষ আরো বেশি সচেতন হবেন।

কারণ সাপ মারা জরুরী নয়। সাপ আমাদের পরিবেশ বন্ধু। সাপকে বাঁচানো জরুরী । তা নাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবেনা। তবে চন্দ্রবোড়ার কামড় খেয়ে ওই যুবক জীবন্ত সাপ ধরে হাসপাতালে আসায় তাকে কুর্ণিশ জানাতে হয়।”