শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জলে থমকে দরিদ্র রিক্সা চালকের জীবন!

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং – প্রকৃতির কি লীলাখেলা। কখন মেঘ ভাঙা মুশলধারা বৃষ্টিপাত মানুষ কে কাঁদাচ্ছে,আবার কখনও বা প্রখর রৌদ্রের তাপমাত্রায় খরা হয়ে ছারখার করে দিচ্ছে সবুজ পৃথিবীর বর্ণময় জীবন। প্রাকৃতিকের খামখেয়ালিপনার জন্য বিপাকে পড়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ট জীব মনুষ্য সমাজ।বিগত প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ ভারী বর্ষণ চলছে।প্রবল এই বর্ষনের ফলে সমস্ত খালবিল,পুকুর,মাঠঘাট,যাতায়াতের রাস্তায় হাঁটু সমান জল জমে গিয়েছে।

আর এই জমা জলেই থমকে গিয়েছে জীবনযাত্রা।তখন সোমবার সকাল।ঘড়িতে সময় তখন প্রায় ১১ টা।এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে ঝমঝমিয়ে।রুটিরুজীর টানে রিক্সা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় বেরিয়ে পড়েছিলেন জয়নগরের দক্ষিণ বারাসাতের মঙ্গল সরদার।দক্ষিণ বারাসাত থেকে দীর্ঘ প্রায় ১৭ কিলোমিটার রিক্সা চালিয়ে গিয়ে বারুইপুর এ থেমেছেন। একটিও যাত্রীর দেখা মেলেনি। হতাশ মঙ্গল সরদার হাঁটু সমান জলে ঠাঁয় চাতকের মতো দাঁড়িয়ে যাত্রীর অপেক্ষায়।

দরিদ্র রিক্সাালকের দাবী ‘চাষআবাদের জমিজমা নেই। অগত্যা জীবনজীবিকা নির্বাহের জন্য স্ত্রীর গয়নাগাঁটি বিক্রি করে একটি টোটো গাড়ি কিনেছিলেন। যার মাসিক কিস্তি সাত হাজার টাকা।সামনে পুজো ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনতে হবে। একদিক পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার চিন্তা আর অন্যদিকে ঋণের টাকা পরিশোধ করার ভাবনা।

যার জন্য প্রবল বর্ষণেও হার মানাতে পারেনি সৎ,ভদ্র,দরিদ্র রিক্সাচালকের অদম্য উদ্যোগ কে।কিন্তু দুর্ভাগ্য হাঁটু সমান জলে চাতকের মতো যাত্রীর অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকলেও ভারী বর্ষনে যাত্রীদের দেখা মেলেনি। অগত্যা দরিদ্র রিক্সা চালক মঙ্গল সরদার দুপুরে হাঁটু সমান জলের মধ্যে একমুঠো মুড়ি খেয়ে আবারও বৃষ্টির মধ্যে দক্ষিণ বারাসাতের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।আগামী কালও যে রিক্সা নিয়ে বের হতে হবে। না হলে ঋণ মেটাবেন কি ভাবে!

আরও দেখুন