মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেচ দপ্তরের ভাঙন রোধের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল

News Sundarban.com :
জুন ৩০, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: মালদার মানিকচকের ভূতনির সেচ দপ্তরের ভাঙন রোধের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন বামফ্রন্ট প্রতিনিধি দল । তাদের অভিযোগ ভাঙন রোধের কাজের নামে চলছে বড় অংকের টাকার নয়ছয়। তাদের অভিযোগ শুখা মরসুমে কাজ না করে শুধুমাত্র টাকা নয়ছয়ের জন্য চলছে বর্ষার মধ্যে কাজ।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ না করে অন্যত্র ভাঙন রোধের কাজ করছে সেচ দপ্তর বলে গুরুতর অভিযোগ করেন বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল ।রবিবার বিকেল নাগাদ ভুতনির হিরানন্দপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা কোষীঘাট, কেশরপুর ঘাট ও বাগদানটোলা ঘাটের ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন বাম প্রতিনিধি দল। এই বাম প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মালদা জেলা বামফ্রন্ট শ্রমিক সংগঠনের নেতা দেবজ্যোতি সিনহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানিকচকের বাম নেতা শ্যামল বসাক ,ভোলা মন্ডল ,অমিত ঝা সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন আগে ভূতনির কোষীঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন হয় ।আর এই ভাঙ্গন এর জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। এমনকি সেচ দপ্তর এর পক্ষ থেকে ভাঙন রোধের কাজের আশ্বাস দেওয়া হয়।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বাম্ নেতা দেবজ্যোতি সিনহা অভিযোগ করে জানান মালদা জেলায় রয়েছেন সেচমন্ত্রী। কিন্তু ভাঙন রোধের কাজে কোনো অগ্রগতি নেই। বরং তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে নিজেদের ভাগবাটোয়ারা করছেন।সেচ দপ্তর ঘুঘুর ভাষায় পরিণত হয়েছে এ কথা স্বীকার করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। বিঘার পর বিঘা জমি ও ফসল গঙ্গার নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে।অথচ সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে না।

যে এলাকায় ভাঙ্গন নেই সেই এলাকায় কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সুখা মরসুমে কাজ করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ঠিক একইভাবে ভাঙ্গন নিয়ে আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় পাটচাষি ।তিনি জানান ইতিমধ্যে কয়েক বিঘা পাটের জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না ।এইরকম ভাঙ্গন চলতে থাকলে আর কিছুদিন পরে সমস্ত জমি এমনকি বাঁধও নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে।