পেট্রোল পাম্পের সামনে বামপন্থীর ট্রেড ইউনিয়নগুলির উদ্যোগে সংগঠিত হলো ধর্ণা ও বিক্ষোভের কর্মসূচী
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : পেট্রোল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি,কৃষক স্বার্থ বিরোধী তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি,শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কর্পোরেটদের নির্দেশে শ্রমআইন পরিবর্তন করে লাগু করা চারটি শ্রমকোড বাতিলের দাবি,জনস্বার্থ বিরোধী বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিলের দাবি,দেশের সব মানুষকে বিনামূল্যে গন টিকাকরণের দাবি,জীবনদায়ী ওষুধ সহ কোভিড আবহে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধি রোধ সহ অন্যান্য দাবিতে গতকাল ২৩শে জুন ও আজ ২৪শে জুন সারা পশ্চিম বাংলা জুড়ে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির আহবানে পেট্রোল পাম্পগুলির সামনে প্রতীকী প্রতিবাদ অবস্থান বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সিআইটিইউ, টিইউসিসি সহ ট্রেড ইউনিয়নগুলির নেতৃত্বে বাঁকুড়া ১নং ব্লকের ধলডাঙা মোড়ে পেট্রোল পাম্পের সামনে আজ সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ধর্ণা ও বিক্ষোভের মাধ্যমে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলি পালন করলেন এই প্রতিবাদের কর্মসূচী। অংশগ্রহণকারীরা দাবী সম্বলিত পোস্টার গলায় ঝুলিয়ে এই কর্মসূচিতে সামিল হন।
তীব্র ক্ষোভের সাথে বক্তারা নির্বাচনের পর থেকে কিভাবে ২৮বারে লিটার প্রতি পেট্রোলে ৭টাকা ১০ পয়সা এবং ডিজেলে ৭টাকা ৫০ পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে তা তুলে ধরেন। ‘এক দেশ – এক কর’ স্লোগানের প্রবক্তা মোদী সরকার পেট্রো-পণ্যে জিএসটি লাগু করা এড়িয়ে চলে লিটার প্রতি ৩০টাকারও বেশী মূল্যহ্রাসের সম্ভাবনাও কিভাবে নস্যাৎ করে চলেছেন এবং বিগত সাত বছরের শাসনকালে শুধুমাত্র পেট্রো-পণ্যের অন্তঃশুল্ক থেকে ২২ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছেন তাও তুলে ধরেন।
বক্তারা শ্লেষের সাথে জানান বিগত সাত বছরে এই সরকার পেট্রোলের উপর অন্তঃশুল্ক বাড়িয়েছেন ২৫৮ শতাংশ এবং ডিজেলের উপর ৮২৯ শতাংশ যা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে করেছে অনুঘটকের কাজ তারাই আম্বানী, আদানি-সহ কর্পোরেটদের ১১লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুব করলেও দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন প্রদান, প্রতিটি গরীব পরিবারকে মাসে ৭৫০০/- টাকা করে প্রদান বা প্রতিটি গরীব পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে খাদ্যশস্য প্রদানের জন্য অর্থের সংস্থান করে উঠতে পারছেন না। এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে এই সরকারের না’কে হ্যাঁ’তে পরিণত বাধ্য করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবাদ বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন প্রতীপ মুখার্জী ও উজ্জ্বল সরকার (সিআইটিইউ), শ্যামাপদ ডাঙর(টিইউসিসি) ও সুনীল ঘোষ(কৃষক সভা) – এঁরা ছাড়াও সমগ্র কর্মসূচীতে নেতৃত্ব প্রদান করেন ভৃগুরাম কর্মকার, মোহন ধবল, সূজয় পাল, গণেশ দে প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।