মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চীনাবাদাম চাষ করে লাভ দেখছেন বড় মানাচর চকবাজারের কৃষকেরা

News Sundarban.com :
জুন ১৬, ২০২১
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া:  সম্প্রতি চীনাবাদাম চাষ করে লাভ দেখছেন বড়জোড়া ব্লকের পখন্না পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড় মানাচর চকবাজারের কৃষকেরা। চীনাবাদাম একটি যৈদ মরশুমের ফসল। এই বাদাম একটি অর্থকরী ফসল হওয়ায় এই ফসল চাষে যথেষ্ট লাভ রয়েছে।

এখানকার বিজয় বৈদ্য নামে এক কৃষকের সাক্ষাৎকারে জানতে পেরেছি যে এই বাদাম চাষে বিঘা প্রতি উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ ৫- ৭ কুইন্টাল এবং বিঘাপ্রতি লাভের পরিমাণ ১৫০০০ -২০০০০ টাকা। শুধু তাই নয় আলু তোলার পর একই জমিতে এই চাষ করা হয় বলে এতে খুব একটা বেশি সার প্রয়োগ করতে হয় না। তবে রোগ ও পোকার আক্রমণ হলে কিছু কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক সময়মতো প্রয়োগ করতে হয়। বাজারে চীনাবাদামের যথেষ্ট চাহিদা থাকায় মার্কেটিং এ কোন অসুবিধা হয় না বললেই চলে।

তবে বর্তমানে এই বিধিনিষেধের মধ্যে বাইরে রপ্তানির জন্য যে সমস্ত গাড়ির প্রয়োজন হয় তা সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না এমনটাই জানিয়েছেন শিশির সরকার নামে অন্য এক কৃষক। তিনি এটাও জানিয়েছেন দুই ভাবে এ বাদাম মার্কেটিং করা হয় খোসা সমেত নয়ত খোসা ছাড়ানো অবস্থায়। এই বাদাম এখান থেকে আমাদের রাজ্যের মধ্যে নবদ্বীপ, বালিপুর, গোপীবল্লভপুর প্রভৃতি স্থান ছাড়াও উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্যেও এখানকার বাদাম রপ্তানি করা হয়।

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির খোসা ছাড়ানোর মেশিনের সাহায্যে সহজেই বাদামের খোসা ছাড়ানো যায় এতে যেমন সময় সাশ্রয় হয় ঠিক তেমনি বাদামের গুণমানও বজায় থাকে, ফলে তাড়াতাড়ি বাজারজাত করতে কোন অসুবিধা হয় না। খোসা ছাড়ানো এই বাদাম পার্শ্ববর্তী চানাচুর ফ্যাক্টরি গুলিতেও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। শুধু বড় মানাতেই নয় বর্তমানে এই বাদাম দামোদর তীরবর্তী ছোট মানা, মাঝের মানা এবং সোনামুখী সংলগ্ন বিহারী মানাতেও ব্যাপক হারে এই চীনাবাদামের চাষ হচ্ছে।