আত্মহত্যার করতে গিয়ে ফিরে এসে জীবন বদলে ফেলা মনোজ বাজপেয়ি
আত্মহত্যার করতে গিয়ে ফিরে এসে জীবন বদলে ফেলা একজন
একবার, দুইবার, তিনবার… হলো না… হচ্ছে না, কিছুই হচ্ছে না—অর্থাভাবে, হতাশায়, বিচ্ছেদের নিদারুণ কষ্টে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তরুণ মনোজ বাজপেয়ি। হঠাৎ মনে হলো, তিনবার ন্যাশলান স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সর্বোচ্চ কী হবে, আরও একবার ফিরিয়ে দেবে। আত্মহত্যা নাহয় একটু পরেই করা গেল। নতুন করে চতুর্থবারের মতো আবেদন করলেন। ফলাফল প্রকাশের দিন মনে মনে আত্মহত্যার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেজাল্ট দেখলে গেলেন। চতুর্থবারের মতো বাতিল দেখে তবেই মরবেন। কিন্তু এ কী, তিনি যে নির্বাচিত হয়েছেন! চোখ কচলে আবার তাকালেন ভালো করে, ‘মনোজ বাজপেয়ি, সিলেক্টেড’। নানা অনুভূতির সংমিশ্রণে হুট করেই আত্মহত্যার প্ল্যান বাতিল করতে হলো। মরা হলো না তাঁর। হোস্টেলে ফিরলেন মিষ্টি নিয়ে। মনোজ বাজপেয়ি, এই মুহূর্তে বলিউডের ‘ফাইনেস্ট’ অভিনেতাদের একজন। সেই অভিনেতা, যাঁকে অনেক কিছু বলার জন্য খুব বেশি কিছু করতে হয় না। আজ তাঁর ৫২তম জন্মদিন।
আজ থেকে ঠিক ঠিক ৫২ বছর আগের কথা। বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেলোয়া গ্রামে ১৯৬৯ সালের ২৩ এপ্রিল জন্ম নেন মনোজ বাজপেয়ি। তাঁর নাম রাখা হয়েছিল অভিনেতা মনোজ কুমারের নাম অনুসারে। কৃষক বাবা আর গৃহিণী মায়ের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর পরিবারের আরও একজন ক্যারিয়ার গড়েছেন বলিউডে। ছোট বোন পুনম দুবে বলিউডের নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার। ছোটবেলা সম্পর্কে ‘দ্য স্লো ইন্টারভ্যু উইথ নীলেশ মিশ্র’তে মনোজ বলেন, ‘পৃথিবীর শতকরা আশি ভাগ মানুষ কলেজ পাস করার আগে জানে না যে সে কী হতে চায়। কিন্তু আমার যতটুকু স্মৃতি আছে, বোধ হওয়ার পর থেকেই আমি কেবল অভিনেতা হতে চেয়েছি। আমি বাবার সঙ্গে মাঠে চাষ করতে যেতাম, তখন মনে হতো আমি কৃষকের অভিনয় করছি। জন্মের পর থেকেই আমি মনেপ্রাণে কেবল অভিনেতা ছিলাম।’