শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘আমরা ডবল টিচার রিক্রুট করব’, পুরুলিয়ায় মমতা

News Sundarban.com :
মার্চ ২৩, ২০২১
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। আজ পুরুলিয়ায় ব্যক টু ব্যক সভা করেন মমতা। এদিন পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে বিঁধতে বদ্ধপরিকর তৃণমূলনেত্রী। দিচ্ছেন এক গুচ্ছ কর্মসংস্থান ও শিল্পে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি। ১৮ বছরের পর বিধবাদের এক হাজার টাকা করে ভাতা। আগামী দিনে বাংলা সবাইকে চাকরি দেবে। বাংলা কারোর কাছে ভিক্ষা করে না, বললেন মমতা।
, ‘যদি, আমাকে বিশ্বাস করেন, আমি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী করে দিয়েছি, স্মার্টফোন দিচ্ছি। তা সত্বেও বলছি, এইবার আমাদের সরকার জিতলে আরও করবে। বিনে পয়সায় রেশন সারা পৃথিবীতে কোথাও নেই। আমাদের সরকার জিতলে দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছে দেব, বিনে পয়সায়।’

স্বপন বেলতোড়িয়ায় প্রার্থী হল কি না হল, ভুলে যান। স্বপন বেলতোড়িয়ার ম্যাটার নয়, যদি আপনারা চান সরকারটা আমি তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে ভোটটা জোড়া ফুলে দিতে হবে। আমি জানি আদিবাসীদের কিছু সমস্যা ছিল। আপনারা যা বলবেন, সেটাই হবে। আপনাদের টিলা দখল করে কিছু হবে না। আদিবাসীদের কথা দিচ্ছি। ’স্বপন মেটার নয়, যদি চান আমি সরকার গঠন করি, তাহলে ভোট দেবেন।

কাশীপুরে তিনি বলেন, ‘ট্যুরিস্ট আসবে, সে আপনার বাড়িতে থাকবে। হোম ট্যুরিজম। দার্জিলং, পুরুলিয়ায় করেছি। এখানেও ঢেলে সাজাবো। আমরা ১০ লক্ষ টাকা করে লোন দেব। প্রথম বারের ৫০ হাজার টাকা সুদও দিয়ে দেব। তফশিলি আদিবাসীদের ৬০ বছর হলেও ১ হাজার টাকা পেনশন। প্রত্যেক বিধবাকে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রযৌবন চাকরি করতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে। বাইরে থেকে সবাইকে ফিরে আসতে বলুন। চাকরির অভাব হবে না। এখানে সোলা শিল্প হচ্ছে, জরি শিল্প হচ্ছে. এখানে তাতঁশিল্প হচ্ছে। নাম না লেখালে বিজেপি এনপিআর করে বের করে দেবে।’

‘বিজেপি রেল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে, এয়ার ইন্ডিয়াকে গুটিয়ে দাও, বিএসএলএন গুটি দাওয়, ব্যাঙ্ক-ইনসুরেন্স বন্ধ কর। কাশীপুরের মানুষ কোথায় যাবেন? সব বন্ধ করে দিলে, মানুষের কী করে চলবে? রেলকে বেসরকারিকরণ করতে দেব না। আন্দোলন করব। বলছে কোল ইন্ডিয়া তুলে দাও। মানুষ খাবে কী? বিজেপির মাথা চিবিয়ে তো পেট ভরবে না।’ আর মাথা চেবানো যায়ও না, এটা ভুল। আগেও বলেছিল। এমপি জিতিয়ে নিয়ে গেল। সেই এমপি এলাকায় এক দিনও এসেছে? সে জামসেদপুরে গিয়ে বসে আছে। জয়পুরের আমাদের একটা প্রার্থী বাতিল করে দেওয়া হল। ছোট্ট ভুলে বড় ভুল।

‘মনে রাখবেন, আমি এখানে প্রার্থী। এরা না জিতলে আমি সরকার গঠন করতে পারব না। আমার ভরসা আপনারা। এবারের নির্বাচনে মা-বোনেরা লড়াই করুন। তাই বলি খেলা হবে, এবং খেলাতে এমন করে মারবেন বল যেন বিজেপিকে মাঠের বাইরে বের করে দিতে পারেন। আমাকে চমকে ধমকে লাভ হবে না। আমি বিনা যুদ্ধে একইঞ্চি জমিও দেব না।’

এদিন সভা থেকে রাজ্যের আরও বেশী কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন, তিনি বলেন, ‘আমরা ডবল টিচার রিক্রুট করব। যাতে আরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ হয়। ১০০ দিনের কাজ বাড়াব। ৭৫ শতাংশ ইউনিট যারা নেন তাদের বিদ্যুতের দাম দিতে হবে না। আমরা সুলভে বিদ্যুৎ দেব।’ ‘৫০ শতাংশ বেকারি কমিয়েছি। আরও ৫০ শতাংশ কমাব। দারিদ্র কমিয়েছি। ৫ শতাংশে নামিয়ে আনব। স্বাস্থ্যসাথী অবশ্যই করাবেন। বছরে চিকিতসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। বাবা-মায়েরও চিকিতসা করাতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ অসমের ম্যানিফেস্টো, ত্রিপুরার ম্যানিফেস্টো নিয়ে আসুন। শিক্ষক ছাঁটাই। বিজেপি থেকে সাবধান। স্টেনগান থেকে সাবধান।

কেন্দ্রের বেসরকারিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন,  ‘আজ গ্যাসের দাম কত? ৯০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদি সব খেয়ে নিয়েছে। ভোটের আগে দাম কমিয়ে আবার বাড়িয়ে দেবে। আমরা যদি বিনা পয়সায় চাল দিতে পারি, তোমাকে বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে। কেরোসিন কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাঙ্ক, বিক্রি, বিমা বিক্রি, বিএসএনএল বিক্রি করছে। সব কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। শুরু মোদির মিথ্যে কথা বলার কারখানা চালু থাকবে।’

সভা থেকে বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন, বলেন, ‘বিজেপি ভাবছিল মমতার তো পায়ে মেরেছি আমরা। ওকে চোট করে দিয়েছি, বেরোতে পারবে না। আমাকে তো চেনে না। আমি এক পায়ে যা শট মারতে পারি না, ওদের এক শটে মাঠের বাইরে বের করে দেব। ওরা আমাকে চেনে না। আমি লড়াই করা লোক।