বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ বছর পর সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ আটে নেই মেসি কিংবা রোনালদোর কেউই

News Sundarban.com :
মার্চ ১১, ২০২১
news-image

অভাবনীয় কিছুই করতে হতো বার্সেলোনার। কিন্তু সেটি হয়নি। নেওয়া হয়নি ২০১৭ সালের প্রতিশোধও—সেবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হেরেও দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্য এক স্কোরলাইনে (৬-১) পিএসজিকে বিদায় করে দিয়েছিল বার্সেলোনা। এবার প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় লেগে ১-১ গোলে ড্রতেই শেষ মেসির দলের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান। ‘অভাবনীয়’ কিছু হতে পারত। পিএসজিকে চেপেও ধরেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ‘২০১৭’ তো আর বারবার আসে না।

দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেছে পিএসজি। গতবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ফাইনালে ১-০ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ ঘটা প্যারিসের জায়ান্টদের স্বপ্নটা এবার টিকে রইল। আগের রাতেই দুই লেগ মিলিয়ে গোল ব্যবধানে পোর্তোর বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে বিদায় হয়ে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসের। কাল বিদায় নিলেন মেসি। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ কি তাহলে একটা যুগেরও অবসান ঘটতে দেখছে? ২০০৫ সালের পর, অর্থাৎ ১৬ বছর পর এই প্রথম ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ আটে নেই মেসি কিংবা রোনালদোর কেউই।

অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারলেন না মেসি।

এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের আগেই নেই বার্সেলোনা। ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে যেতেও ব্যর্থ।নেইমারকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল পিএসজি। চোটের কারণে তিনি যে এই ম্যাচে খেলবেন না, সেটা আগেই জানা ছিল।

৩১ মিনিটে পিএসজিই এগিয়ে যায়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এমবাপ্পে। এটি অবশ্য ভিএআরের সাহায্যেই পেয়েছিল পিএসজি। মাউরো ইকার্দিকে ফাউল করেছিলেন বার্সেলোনার ক্লেমঁ লংলে। ভিএআরে ধরা পড়ে ইকার্দির গোড়ালিতে পাড়া দিয়েছিলেন লংলে। সেটিকে কার্যকর করেন এমবাপ্পে। তবে ঠিক ৬ মিনিট পরই মেসির গোলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে নেওয়া শটে গোলটি করে মেসি পেয়ে যান চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর ১২০তম গোলটি।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে পেনাল্টি পায় বার্সা। এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু মেসি সেটি কাজে লাগাতে পারেননি। লেভিন কুরজাওয়া ফাউল করেছিলেন আঁতোয়ান গ্রিজমানকে। কিন্তু মেসি সেটি কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধ বার্সেলোনা পিএসজিকে চেপে ধরেছিল। মেসিকে একবার কোনোমতে কঠিন ট্যাকলে ঠেকান মারকিনিওস। সার্জিও বুসকেটস খুব কাছে থেকেও নাভাসকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে বার্সার শেষ আটের স্বপ্ন ততই দূরে সরে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিদায়ের বেদনাই সঙ্গী হয়েছে মেসিদের।