নিউ আলিপুর কেসের অভিযুক্তকে আনা হল আলিপুর জজ কোর্টে
নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: পামেলা গোস্বামীকে আজ যখন আলিপুর কোর্টে তোলা হল তখন তিনি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করে সংবাদ মাধ্যমদের বললেন,Vআমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। অনেকদিন থেকেই ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছিলো। রাকেশ সিং করিয়েছে। আমার কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর আছে, প্রমাণ রয়েছে। ৫ দিন আগে, আমি রেকর্ড করে রেখেছি। নিউ আলিপুর থানা থেকেও এটা করতে পারে। তিনি সিআইডি এবং ডিডির থেকে তদন্ত চাইছেন।
বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে আদালতে তীব্র বাকবিতন্ডায় জরালো দুই পক্ষের আইনজীবী। পামেলা গোস্বামীর পক্ষের আইনজীবী অমলেন্দু রায় আলিপুর জেলা আদালতের বিচারক রানা দামের এজলাসে সওয়াল করেন তার মক্কেলকে, পূর্বপরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে। ভরা এজলাসে বিচারকের সামনে তার আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, এফ.আই.আর দায়ের করার আগেই কি করে একজনকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ ?
আইনজীবীদের দাবি, পুলিশের নথি অনুযায়ী ১৯ তারিখ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অথচ জেনারেল ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটায়। তারপরে হয়েছে এফ.আই.আর। এই সূত্র ধরেই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর প্রশ্ন, কি করে রাম জন্মাবার আগে রামায়ণ রচনা হয়ে গেল ?
পাশাপাশি অভিযুক্তের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, তাঁর মক্কেলকে সার্চ করার সময় কোন মহিলা পুলিশ কর্মী কেন ছিল না ? স্থানীয় আদালতে জোরদার সওয়াল করেন পামেলার আইনজীবী। এই প্রশ্নের উত্তরে তেমন কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি সরকার পক্ষের আইনজীবী।
অন্যদিকে সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, ১৮ই ফেব্রুয়ারী রাতে সূত্র মারফৎ পুলিস জানতে পারেন ১৯ তারিখ বেলা ৪,৪৫ মিনিট নাগাদ একটি মাদক পাচারের ডিল হতে চলেছে কয়েক কোটি টাকার। সেই মতো আগে থেকে নিউ আলিপুর থানার পুলিস এবং NCB অপেক্ষায় ছিল। পুলিস প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তারা অসংলগ্ন উত্তর দিলে, তারপর আটক করা হয়। পরে গ্রেফতারির মেমো দিয়েই গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হয় নিরাপত্তারক্ষী সোমনাথ চ্যাটার্জী, পামেলা গোস্বামী এবং প্রবীর দে। ২৫ প্যাকেট কোকেন উদ্ধার করা হয়। বিচারকের কাছে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী।