নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বাম যুবকর্মীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি: নবান্ন অভিযানে গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক বাম যুব কর্মী। সোমবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে তাকা বাম নেতা ডাঃ ফুয়াদ হালিম সাফ জানিয়েছেন, পুলিশের বেপরোয়া মারধরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে মইদুল ইসলাম মিদ্দার (৩১)।
বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ওই যুব কর্মীকে পুলিশ ব্যাপক মারধর করে। সেই মারধরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা, ৩১ বছরের মইদুল ইসলাম মিদ্যা। তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় সিপিএম নেতা তথা চিকিত্সক ফুয়াদ হালিমের ক্লিনিকে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ক্যামাক স্ট্রিটের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
নার্সিংহোম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিসের লাঠির আঘাতে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায় সেদিন। লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মইদুল ইসলাম মিদ্যা। এরপর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
চিকিৎসক ও DYFI নেতা ফুয়াদ আলিম বলেন, “১৩ তারিখ সকালে জানা যায় কিডনি ফেলিওর হয়েছে। পুলিসের লাঠির আঘাত পেশির উপর পড়ায়, পেশি ফেটে যায়। সেখান থেকে যে প্রোটিন বের হয়। তা কিডনিকে ব্লক করে দেয়।প্রথম দিন থেকে তদারকিতে ছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারি, সোডিয়াম নেমে গিয়েছে, পটাশিয়াম বেড়ে গিয়েছিল। ১৪ তারিখ আরও অবনতি ঘটে। রবিবার রাত্রে সামান্য ভাল হয়েছিল। কিন্তু ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। কিন্তু ১৫ তারিখ সকালে লড়াই শেষ করেন মইদুল ইসলাম মিদ্যা”।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা একটা খুন। বাঁকুড়া গ্রামের ছেলে চাকরি চাইতে এসেছিলেন। বুকে-পিঠে- ঘিরে মেরেছে। সরকার তার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। খুনি সরকার। মানুষের কথা শোনার মতো কোনও সুযোগই রাখে না এই সরকার”।
জানা গিয়েছে মৃত ৩২ বছরের মইদুল ইসলাম মিদ্যা বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্য। তাঁর পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, ছেলে মেয়ে। হঠাৎ এই মৃত্যুতে প্রায় ভেসে যাওয়ার মুখে তাঁর পরিবার।
আজ সকাল ৭টা নাগাদ ওই বাম যুব কর্মীর মৃত্যু হয়। ঘটনা নিয়ে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।