শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাবুল সুপ্রিয়

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল নেতাই দল ছাড়তে চাইছেন। শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে আসার পর তৃণমূল ছেড়ে
জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপি-তে আসার জল্পনা জোরাল হয়। এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাবুল সুপ্রিয়।

আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি স্টেটাস দেন এবং ভিডিয়োও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,আমার শীর্ষ নেতৃত্ব কী করেন, সেটা আলাদা ব্যাপার। সেই সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ। তাতে আমার কিছু বলার অধিকার নেই। কিন্তু আমার প্রচুর বিজেপি সহকর্মী এতদিন ধরে চূড়ান্ত ভাবে আক্রান্ত, নির্যাতিত, আহত হয়েছেন। জীবন দিয়েছেন। এই পুরো বিষয়টি তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, তাঁর নির্দেশে আসানসোল-দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতারা কার্যকর করেছেন। আপনারাও জানেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। জিতেন্দ্র বিজেপি-তে যোগ দিলে সেটা তাঁর এবং স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের কাছে ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’ বলে বর্ণনা করে বাবুল আরও বলেছেন, ‘‘এঁদের কারও বিজেপি-তে যোগ দেওয়াটা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারব না।’’

বাবুলের ওই পোস্টের পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, এ বার কি তৃণমূলের মতো বিজেপি-তেও পুরনো ও নতুন এর লড়াই শুরু হতে চলেছে? মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের যোগদানের পর রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে একটা অংশ বলে থাকে, বিজেপি-র ‘তৃণমূলায়ন’ হচ্ছে। এ বার শুভেন্দু অধিকারী বা জিতেন্দ্র বিজেপি-তে যোগ দিলে সেই বিতর্ক আরও জোরাল হবে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধেও বাবুলকে অহরহ লড়তে হয়েছে। এখনও হয়। ফলে তাঁর ‘ব্যক্তিগত উষ্মা’ স্বাভাবিক বলেই তাঁর অনুগামীরা মনে করছেন।
ঘটনাচক্রে, জিতেন্দ্র তৃণমূল ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাবুল ওই ফেসবুক পোস্ট করেছেন।