শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মা মাটি মানুষের টানে মৌসুমী দ্বীপে বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৩, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেক্স: মা মাটি মানুষের টানে ভোর হতে না হতেই নামখানা ব্লকে হাজির হলেন বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। রবিবার সকাল ৮টায় নামখানা ব্লকের মৌসুমী দ্বীপে এসে পয়লাঘেরী এলাকার নদীবাঁধ পরিদর্শন করলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রীমন্ত কুমার মালি ও এলাকার অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

পয়লাঘেরী সিগন্যাল পয়েন্টের বেহাল দশা। এই অবস্থা দেখে তিনি বলেন, এই সিগনাল পয়েন্ট অতি শীঘ্রই আমি মেরামত করব। অবশ্য, সিগন্যাল পয়েন্টের ১২০০ মিটার নদীবাঁধ টেন্ডার হয়ে গেছে। কাজ শুরু করার মুখেই রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মৌসুনি দ্বীপের এই পয়লাঘেরী এলাকায় রাস্তাঘাট  থেকে শুরু করে এমনকি টিউয়েল, যেখানে কম রয়েছে সেই জায়গায় টিউবয়েল বসানো  হবে । এমনকি কিছু কিছু জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই ভয়ঙ্কর সেগুলোর কাজও শুরু হবে।

এই সঙ্গে কৃষকদের একাধিক দাবিও তিনি মেনে নিয়েছেন। সেই দাবি গুলো যাতে পূরণ করা হয় তা তিনি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান হাসনা বানু বিবি বলেন, আম্ফান এবং বুলবুলের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেভাবে মৌসুমী বাসিকে ধ্বংস করে দিয়েছে তা বলার অবকাশ নেই। মৌসুমী বাসি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচা যায়। এই মৌসুমী বাসির যা কিছু আশা, যা কিছু দাবি তা আজ বিধায়ক স্বয়ং এসে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি এখানে বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। তাদের পুনর্বাসনের ও ব্যবস্থা করা হবে।

বিগত বেশ কয়েক মাস আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে যেভাবে মৌসুমী বাসি নদীর নোনা জলে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছিল, তা আজও সেই দাগ শুকোয়নি। একদিকে মারণ ভাইরাস করোনার দাপট। অন্যদিকে লকডাউনের ফলে আয় ইনকাম বন্ধ থাকায় যেমন সংসারে অর্থের টান পড়েছে। তেমনি মৌসুমি বাসির যেটুকু ভিটেমাটি ছিল তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। তার দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না কি করবেন, কোথায় বা থাকবেন। মাথার ওপর এক চিলতে খড়কুটো দিয়ে তৈরি করা বাড়ি সেটাও আজ নদীগর্ভে বিলীন।

এমন অবস্থাতে সেইসব দুরবস্থা অসহায় মানুষজনের পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

আগামীদিনে মৌসুনি দ্বীপ হবে নামখানা ব্লকের মধ্যে একটি অন্যতম দ্বীপ। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আর নদীর জলেতে ডুবতে হবে না মৌসুমী বাসিকে। আর হারাতে হবে না মৌসুমী বাসির ভিটেমাটি। এমনই আশ্বাসে খুশি এলাকাবাসী।