বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গ্রামাঞ্চলে নারকেলের মালাতে মোমবাতি বসিয়ে আজও চলছে আনন্দের রেওয়াজ

News Sundarban.com :
নভেম্বর ১৫, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কালীপুজোর আনন্দ করলেও কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এর আনন্দ ঠিক একই রয়েছে। বিভিন্ন রকমের লাইটিং, প্রদীপ এবং মোমবাতির নতুনত্বের ছোঁয়া থাকলেও গ্রামাঞ্চলে নারকেলের মালাতে মোমবাতি বসিয়ে আজও চলছে আনন্দের রেওয়াজ। নামখানা ব্লকের গ্রাম অঞ্চলের মধ্যে ঢুকলে দেখতে পাওয়া যায় কালীপুজোর সময় নারকেলের মালায় করে মোমবাতি জ্বেলে কাছাকাছি কোনও মন্ডপে গিয়ে প্রতিমা দর্শন। সেই আদ্যিকালের এক পুরনো শ্লোক রয়েছে,

ধারে মশা ধা
ল বাড়িতে যা,
লয়ের চংয়ায় পংয়া দিয়ে
স্বর্গে উঠে যা।।

এর অর্থ হল রাতের অন্ধকারে মশাদের বংশের শেষ পরিনতি হওয়ার এক শ্লোক। কালীপুজোর দিন থেকে মশা বংশ স্বর্গে চলে যায়।

একটি ছোট্ট মেয়ে সুনিতী সাঁতরা জানায়, আমরা ১০জনের একটা দল বেরিয়েছি এই অমবস্যা রাতে ঘুরবো বলে। এর মধ্যে কেউ নারকেল মালায় মোমবাতি বসিয়েছে, কেউ আবার টিনের কৌটায় মোমবাতি বসিয়েছে। এই ভাবে আমরা রাতে জঙ্গল পেরিয়ে কালীঠাকুর দেখতে যাব। প্রায় ৩০-৪০মিনিট যাওয়ার পর ওই কলী ঠাকুরের মন্দিরের দেখা পাব।
এই ভাবে গ্রাম বাংলায় এই ভাবে মোমবাতি নিয়ে রাতের অন্ধকারে কচিকাঁচাদের অবাধ যাতায়াত চলে।

আবার ওদের মধ্যে অরুপ বারিক বলছেন, রোববার ভোর রাতে আমাদের গোরুর গোয়ালে গোয়াল পুজো রয়েছে। সেই পুজোর গ্রামের যাদের বাড়িতে গোরু রয়েছে তাদের পুজো হয়। সাদা কৈলারী গাছ পুকুর থেকে তুলে নিয়ে এসে মালা করে প্রতিটি গোরুর গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর ফলমূল দিয়ে প্রসাদ এবং পিঠে পুলি খাইয়ে দিতে হয়।
এমনই প্রথা রয়েছে গ্রাম বাংলায়। এই রকম ভাবে পুজোয় সামিল হতে হলে আসতে হবে নামখানা ব্লকের যে কোনো গ্রামে।