শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টিকা প্রয়োগ করা হল বাচ্চাদের শরীরে

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২৮, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  করোনা ভ্যাক্সিন কবে আসবে সে জন্য গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে।
কিন্তু ভ্যাক্সিন বাজারে আনা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়।
বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার শরীরে প্রয়োগ করার জন্য যথেষ্ট গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখনও প্রায় সব দেশেই ট্রায়াল চলছে। বাচ্চাদের শরীরে প্রয়োগের জন্য চলছে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
পরীক্ষার জন্যই এবার টিকা প্রয়োগ করা হল বাচ্চাদের শরীরে।
আমেরিকায় একশ শিশুর ওপর ফাইজার আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকার পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
গত সপ্তাহে তাদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন তাদেরকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে।

প্রতিমুহূর্তে চলছে পরীক্ষা। প্রায় সময় মাপা হচ্ছে তাদের শরীরের তাপমাত্রা।
কোনও রকম অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিনা লক্ষ্য রাখার জন্য রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সব শিশুরাও কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক। ট্রায়াল চলাকালীন যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে।
তাই স্বেচ্ছাসেবক শিশুদের বাবা-মায়ের অনুমতির পাশাপাশি তাদেরও মত নিতে হয়।
আমেরিকার সিনসিনাতি চিলড্রেনস হাসপাতালের ডাক্তার রবার্ট ফ্রেনেঙ্ক বলেছেন, গত সপ্তাহে ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী ওই একশ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ফাইজারের উদ্ভাবিত টিকা দেয়ার পর এখন কি প্রতিক্রিয়া হয় তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ডাক্তার ফ্রেনেঙ্ক বলেছেন, এই টিকা কতটা নিরাপদ তারা এখন সে বিষয়টিই যাচাই করে দেখছেন।

এ সময়ে তাদের শরীরে কোনও গোটা দেখা দেয় কিনা, ত্বকে লালচে দাগ হয় কিনা, ইঞ্জেকশনের স্থানে কোনও ব্যথা হয় কিনা, জ্বর বা শরীর ব্যথা হয় কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা।
এসব শিশু স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ১২ বছর বয়সী অভিনব অন্যতম।

অভিনবর আশা, তার একটু ত্যাগ স্বীকারের ফলে তার আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব বা অন্য অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।
অভিনব জানিয়েছে, আমি চাই আবার আগের মতো স্কুলে ফিরতে। আশা করি, একটি টিকা যদি এই করোনা ভাইরাসের বিস্তার থামিয়ে দেবে।
এত ছোট বাচ্চাকে স্বেচ্ছাসেবক হতে দিতে ভয় করেনি?
উত্তরে অভিনবর বাবা শরত জানিয়েছেন, আমি তো প্রথমেই আমার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে চাই। তবু মনে হয়েছে এটা একটা উত্তম উদ্যোগ। ভয় পেলে চলবে না।
অভিনবর বাবা শরত নিজেও একজন চিকিৎসক এবং গবেষক।
তিনি করোনা ভ্যাক্সিন প্রয়োগের স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন।