শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পূর্ণিমার ভরা কোটালের আগেই নদীবাঁধে ধস,আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা

News Sundarban.com :
অক্টোবর ২৮, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক:  পূর্ণিমার ভরা কোটালের আগেই প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদীবাঁধে ধস নামলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের হোগল নদীতে।বুধবার সকালে বাসন্তী ব্লকের বাসন্তী গ্রামপঞ্চায়েতের সজিনাতলা মৌজা এলাকায় হোগল নদীর বাঁধে আচমকা প্রায় ৩০০ ফুট নদী বাঁধে ধস দেখতে পায় গ্রামবাসীরা।ভরা কোটালে নদীর জলষ্ফীতি বেড়ে জলোচ্ছ্বাসে যে কোন মুহূর্তে নদীর লবণাক্ত জল স্থানীয় খাঁ পাড়া, অফিস পাড়া, গাজী পাড়ায় ঢুকে প্লাবিত হতে পারে। এমন আশাঙ্কায় প্রহর গুনছেন নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষজন।জোয়ারের সময় নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রচুর বাড়িঘর, ধানচাষের জমি ও পুকুরের মাছ। স্থানীয় গ্রামবাসী ও সেচ দফতরের কর্মীরা তড়িঘড়ি নদীবাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগায়।

স্থানীয় বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস মন্ডল জানিয়েছেন ‘কোটালের জেরে নদীতে জলে ভরপুর। সেই জলোচ্ছ্বাসে হোগল নদীর বাঁধে প্রায় ৩০০ ফুট ধস নামে।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা মেরামতির কাজ চলছে।”

তবে সামনে পূর্ণিমার ভরা কোটাল। তাই নদীর জল বাড়লে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে বেশ কয়েকটি গ্রাম। এমন আশাঙ্কা রয়েছে স্থানীয় নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামের বাসীন্দাদের।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালের ২৫শে মে আয়লা নামক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবনের উপর। হাজার হাজার বাড়ি, গবাদি পশু ও বহু মানুষ ভেসে গিয়েছিল জলের তোড়ে। আয়লার সেই স্মৃতি এখনো টাটকা সুন্দরবনবাসীর মনে। এরই মধ্যে বুধবার সকালে ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসে হোগল নদীর বাঁধে ধস দেখা দেয় সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের সজিনাতলা মৌজা এলাকায়। আর হোগল নদীর বাঁধ ভেঙে নদীর নোনা জল গ্রামে ঢুকলে প্লাবিত হতে পরে বিস্তীর্ণ এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী যেনতেন প্রকারে সরকার উদ্যোগ নিয়ে নদীবাঁধ ভাঙন রুখতে শক্তপোক্ত বাঁধ তৈরী করুক।“