শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
news-image

দক্ষিণ চন্দন পিড়ি: বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ চন্দন পিড়ি এলাকার মানুষজন। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের নামখানা ব্লকের দক্ষিণ চন্দনপিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া ২০০ টি মেহগিনি চারা গাছ রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে বসালেন দক্ষিণ চন্দন পিড়ি বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যগণ।

১০২ টি দ্বীপ আর ম্যানগ্রোভ অরণ্য নদীনালা বেষ্টিত জলাজঙ্গল নিয়ে বিশ্বের বিস্ময়কর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম নিদর্শন পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।

এই সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি যে ভাবে দিনের পর দিন ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়ে চলেছে তার বলার অপেক্ষা রাখেনা। সুন্দরবন আমাদের অক্সিজেনের কারখানা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহনকারি বাদাবন এবং প্রকৃতির মারণ গ্যাস শোষণকারী বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের ঐতিহ্যমন্ডিত এই সুন্দরবন। সুন্দরবন আমাদের সবকিছু বিপদ থেকে পরম বন্ধুর ন্যায় রক্ষাকারী ঢাল হিসাবে বাঁচিয়ে রেখেছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারী চলছে।দাপট দেখিয়েছে আম্ফান সাইক্লোনও। কিন্তু সুন্দরবনের উপর তেমন বেশি প্রভাব খাটাতে পারেনি। সমস্ত দূষণ শোষণকারী শোধনকারী কারখানা এই সুন্দরবন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে আমাদের অক্সিজেন দেয়। যার ফলে আমরা বেঁচে রয়েছি সুন্দরবনবাসী এবং বিশ্ববাসী হিসাবে।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক ড. শান্তনু বেরা, লখাই দাস, অতনু কুমার বেরা এছাড়া অনুপ কুমার মাইতি সহ সংগঠনের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।

গাছ শুধু রোপণ করলেই চলবে না। তাকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ভাবে রাস্তায় দুপাশে গাছ লাগানো হয়ে থাকে। কিন্তু বিদ্যুতের তার, জলের পাইপের লাইন কিংবা টেলিফোনের তারের জন্য যত্রতত্র গাছ গুলো বাড়তে না দিয়ে কেটে ফেলা হয়। তার পরিবর্তে কোনও গাছ লাগানো হয় না। এর ফলে যেমন ক্ষতি হচ্ছে জাতীয় সম্পদ, পাশাপাশি অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। এর ফলে প্রকৃতি তার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। যার ফল অাম্ফান,ফণী, বুলবুল,আয়লার মতো সুপার সাইক্লোনের সম্মূখীন হতে হয়েছে। আর সেই কারণেই ক্ষতির সম্মূখীন সমগ্র মানবজাতি।” তাই আমাদের দরকার গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান।