বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিকার ছেড়ে দিয়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়,মৃত্যু মৎস্যজীবীর 

News Sundarban.com :
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং – 

সুন্দরবন জঙ্গলে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু মিছিল চলছে অহরহ। বৃহষ্পতিবার সুন্দরবনের জঙ্গলের নদীখাঁড়িতে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিলেন বাবুরাম রপ্তান নামে এক মৎস্যজীবী। সেই মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হতে না হতেই শুক্রবার সকালে আবার বাঘের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। মৃত মৎস্যজীবীর নাম রেজাউল গাজী ওরফে মুন্না(৩২)। ঘটনাটি ঘটেছে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের ঝিলা রেঞ্জের ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গল এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হেমনগরের পারঘুমটি এলাকার বাসিন্দা মৎস্যজীবী রেজাউল গাজী ওরফে মুন্না সহ আরও ৪ জন মৎস্যজীবী একটি দল নৌকা করে এদিন ভোরে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সুন্দরবনের নদীখাঁড়িতে।সকালে তারা মাছ ধরতে ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গল এলাকায় চলে আসে।

ঠিক সাড়ে ১০ টা নাগাদ মৎস্যজীবী রেজাউল গাজী ওরফে মুন্না সুন্দরবন জঙ্গল ঘেঁসা নদীতে নেমে বাঁশের খুঁটি পুঁতে জাল বাঁধার কাজ করছিল।সেই সময় আচমকা সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে।মুন্না কে টার্গেট করে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার ঘাড়ে থাবা মারে।বাঘের থাবা খেয়ে ছিঁটকে নদীর চরে পড়ে যায় মৎস্যজীবী মুন্না।সেখান থেকে মৎস্যজীবী রেজাউল গাজী ওরফে মুন্না উঠেপড়ে বেশ কিছুক্ষণ বাঘের সঙ্গে লড়াই করে।বাকী মৎস্যজীবীরা দেখতে পেয়ে লাঠি সোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘের উপর।বেগতিক বুঝে রণে ভঙ্গ দেয় বাঘ।

শিকার ছেড়ে দিয়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়।জখম মৎস্যজীবী রেজাউল গাজী ওরফে মুন্নাকে নৌকায় তুলে জলপথে আনার সময় তার মৃত্যু হয়।ফলে পরপর দুই দিনে বাঘের আক্রমণে ২ জন মৎস্যজীবীর মৃত্যু হল এই ঝিলা জঙ্গল এলাকায়।সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সুত্রে জানাগেছে ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গল এলাকায় মাছ ধরার সময় জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আক্রমণে করলে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়।মৎস্যজীবীদের কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল।কিন্তু তারা নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরছিল।তবে কিভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।