দাঁতন মাছ ধরাতে মজেছেন সুন্দরবনের বেশ কিছু মৎস্যচাষী
ঝোটন রয়, সুন্দরবন:
জীবন-জীবিকা। প্রশ্ন হল নদী তুমি কার? নদী তুমি কি দিয়েছো এই সমাজকে? চারিদিকে মহামারী করোনা যেভাবে সারাবিশ্বে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তার হিসেব পরবর্তী প্রজন্ম কে ও দিতে হবে। করোনা ভাইরাস সারা দুনিয়াকে যেভাবে স্তব্ধ করে দিয়েছে তা বলার অবকাশ নেই।
সবদিক দিয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলো রুজি-রোজগার। আজ কোনো কাজের ক্ষেত্রে কম্পিটিশনের একটা সীমারেখা চলে এসেছে। এই রকম কম্পিটিশেন এর বাস্তবিক চিত্র দেখা গেল সুন্দরবনের নদীপথ গুলিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নামখানা ব্লকের কয়লাঘাটার এক মৎস্যজীবী বলেন, আমাদের কাছে এই মাছ ধরাটা যেন একটা রেষারেষির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিগত পাঁচ বছর ধরে যে জায়গায় আমরা মাছ ধরতাম, সেই জায়গা আজ আমরা মাছ ধরতে পারছি না। তার কারণ হলো স্থানীয় কয়েকজন যুবক যারা আমাদের জায়গাটা ধরে নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন এই করোনার ফলে এলাকার যে সমস্ত মানুষ বাইরে থাকতেন তারা আজ ঘরবন্দি। এই করোনার ফলে তারা একে একে বেছে নিয়েছে এই জীবিকা। যার দরুন একটা রেসারেসি চলে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, আগে আমরা কেঁদে মাগুর ধরতাম। কিন্তু এখন আমরা দাঁতন মাছ ধরি। ৫ জনের টিম সকাল হলে নেমে পড়েন নদীতে। টিনের তৈরি নৌকা যার মধ্যে একজন বসে থাকেন দড়ি টানার জন্য। আর বাকি চারজন নদীতে নেমে দাঁতন মাছের গর্তে ছিপ দিয়ে আসে। এই ভাবে প্রায় চলে মাছ ধরা। কিন্তু তাদের কাছে একটাই বাঁধা, এই করোনার বাজারে আগের মতো আমাদের সংসার ঠিক ভাবে চলবে কিনা।
বড় বড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন, এই করোনাভাইরাসটি হল একটি মারণ ভাইরাস। যার স্থায়িত্ব কতদিন সে বিষয়ে এখনো কেউ পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে পারেননি। শুধু একটাই বার্তা জনমানুষকে দিয়েছেন, যে এই করোনাভাইরাস কে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। ফলে নিজেদের নিরাপত্তা দিকটা বিশেষভাবে খেয়াল রেখে তাকে উৎখাতের পরিকল্পনাও দিয়েছেন।
আজ শুধু করোনা ভাইরাস নয়, প্লেগ, পোলিওর মত মারন ভাইরাসগুলো আজ সারাদেশ থেকে নির্মূল। কারণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অক্লান্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা আজ দুনিয়ার কাছে বড় সাফল্যের চাবিকাঠি।