বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নেপালের সীমান্তবর্তী সাতটি জেলার অনেক জমি চীনের দখলে

News Sundarban.com :
আগস্ট ২৩, ২০২০
news-image

নেপালের সীমান্তবর্তী সাতটি জেলার অনেক জমি চীনের দখলে। এরপরও চীন নেপালের আরো ভেতরের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে দেশটির জরিপ বিভাগ।

এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী অলি নিজে কমুনিস্ট মতাবলম্বী হওয়ায় এবং চীনের নেকনজরে থাকার জন্য এসব অবৈধ দখলদারিত্ব দেখেও না দেখার ভান করছেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, লক্ষ্য করার বিষয় হলো, এসব খবর খুব একটা বিস্তার লাভ করছে না। ফলে বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও খারাপ হতে পারে। নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি) চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) বিরাগভাজন না হওয়ার উদ্দেশ্যে এসব ব্যাপার না দেখার ভান করছে।

নেপালের যে জেলাগুলোতে চীন তার অবৈধ দখলদারিত্ব চালাচ্ছে, সেগুলো হলো দোলাখা, গোর্খা, দারচুলা, হুমলা, সিন্ধুপালচোক, শঙ্খুভাশাভ ও রসুয়া। নেপালের সার্ভে বিভাগের তথ্যানুসারে, চীন দোলাখায় নেপালের সীমান্ত রেখা ডিঙিয়ে ১৫০০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। চীন নেপালের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে গোলযোগ নিরসনে বৈঠকে বসতে চাইছে না এবং তারা নেপালকেও এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে।

২০০৫ সালে নেপালের  সঙ্গে চীনের  সর্বশেষ সীমান্ত বৈঠক হয়েছিল। এর কারণ হলো, নেপাল সরকার চীনকে নিজেদের ভূমি পুনরুদ্ধারের কথা বলে চটাতে চায় না। নেপালের অভ্যন্তরে এসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও সরকারি পর্যায়ে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। তারা এমন কী ২০১২ সালের নির্ধারিত সীমান্ত আলোচনাও স্থগিত রেখেছে।

চলতি বছরের জুনে নেপালি কংগ্রেসের সদস্যরা সংসদের নিম্ন কক্ষে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে, যাতে চীনের কবল থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়। প্রস্তাবে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৬৪৮ হেক্টর জমি চীনের পেটে ঢুকে গেছে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া চীনের সঙ্গে নেপালের ১৪১৪.৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে মোট ৯৮টি সীমানা স্তম্ভের মধ্যে বেশ কয়েকটি উধাও হয়ে গেছে বলেও জানানো হয়। তবে নেপালের সরকারি তরফে এ নিয়ে কোনো হেলদোল নেই বলে মন্তব্য করা হয়েছে ।-এনডিটিভি