শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবনে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস ও মোহন বাগানের প্রতিষ্ঠা দিবস

News Sundarban.com :
আগস্ট ১৬, ২০২০
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং:

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া ব্লক বাসন্তী। বাসন্তী ব্লকের চোরাডাকাতিয়া গ্রাম সমাজে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। সমগ্র দেশ জুড়ে যখন পালিত হচ্ছে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস, ঠিক সেই মুহূর্তে সমগ্র দেশবাসীর সঙ্গে সুন্দরবনে চোরাডাকাতিয়া গ্রামেও শনিবার সকালে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস। পাশাপাশি পালিত হল ভারতের জাতীয় ক্লাব মোহনবাগানের প্রতিষ্ঠা দিবস। শনিবার সকালে চোরাডাকাতিয়া সুন্দরবন মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাবের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ক্লাব সভাপতি সন্দীপ সাউ ও সম্পাদক শরদিন্দু মাঝি। মোহনবাগানের পতাকা উত্তোলন করেন সহ সম্পাদক বিশু মন্ডল ও ক্রীড়া সম্পাদক গৌতম মাইতি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল ক্লাব সদস্যদের পরিহিত ছিল তাদের প্ৰিয় মোহনবাগানের সেই সবুজ মেরুন জার্সি সঙ্গে মুখে মোহনবাগানের লোগো দেওয়া মাস্ক ও হাতে গ্লাস। এদিন তাঁরা স্বাধীনতা দিবস ও মোহনবাগানের প্রতিষ্টা দিবস পালন করার পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, আশাকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ অন্যান্যদের পুস্পস্তবক, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথ চলতি সাধারন মানুষজনের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা।

ক্লাব সভাপতি সন্দীপ সাউ বলেন “এই দিনটি প্রত্যেক ভারতবাসীর গর্বের দিন, উৎযাপন করার দিন।বিগত ৭৩ বছর আগে আমাদের দেশ ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। আর এই স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস আমাদের কারোর অজানা নয়। তবে স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে আজ আমাদের জাতীয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসও।করোনা নামক মহামারীর বিরুদ্ধে আমাদের চিকিৎসক, নার্স,আশাকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়াররা প্রতিনিয়ত জীবন বাজি রেখে লড়াই করছেন।আর সেঈ কারণে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পুস্পস্তবক দিয়ে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানানো হয়।

চিকিৎসক অময় নস্কর বলেন ” স্বাধীনতা দিবসে এই এরকম একটা সংবর্ধনা পেয়ে আমরা খুবই খুশি। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাবো এই চোরাডাকাতিয়া সুন্দরবন মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাবের প্রত্যেক সদস্যকে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এরকম অনুষ্ঠান সত্যি প্রশংসা যোগ্য। এই ক্লাব আগামী দিনে আরও বড় হবে এবং আশাকরি এরকম আরও অনেক সামাজিক কাজে তাঁরা এগিয়ে আসবে।”