অসহায় ছাত্রছাত্রীদের পাশে মানবিক সুন্দরবনের যুবক
বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং:
ওরা প্রত্যন্ত সুন্দরবন ব্লকের বালি, সোনাগাঁ,গোসাবা,রাঙাবেলিয়া, রাজাপুর,সাতজেলিয়া, কচুখালি,তারানগর, মোল্লাখালী, কচুখালি সহ বিভিন্ন দ্বীপে ডাঙায় বাঘ এবং জলে কুমীরের সাথে লড়াই করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে বসবাস করেন।সাম্প্রতিক মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফলাফল বের হলেই ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করে প্রতাপ মন্ডল,সুজাতা মন্ডল,তুহীন মন্ডল,নিরুপম মন্ডল সহ আরো অনেকে।প্রতিটি পরিবার প্রায় দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করেন।ফলে উচ্চ শিক্ষালাভের আশার আকাঙ্খা থাকলেও অর্থনৈতিক দুরঃবস্থার জন্য দুঃশ্চিতায় রয়েছেন এই সমস্ত পরিবার গুলো।তাছাড়া নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরিয়ে যায় তাদের আবার উচ্চশিক্ষা!যেন বামন হয়ে চাঁদ ধরার কাল্পনিক গল্প।ফলে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এমন অবস্থায় এই সমস্ত দরিদ্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন গোসাবার বালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালি ৫ নম্বর গ্রামের যুবক সৌমিত্র মন্ডল।আর এমন কর্মযঞ্জে গোসাবার এই যুবক কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী তপন কর।বর্তমানে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এই সমস্ত অসহায় ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্কের একাউন্টে ভর্তির টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন।পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে পাঠ্য পুস্তকেরও ব্যবস্থা করেছেন সৌমিত্র।ভর্তির পরবর্তী সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেবেন তিনি।
অন্যদিকে অভাবী মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল।সেই কঠিন মুহূর্তে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার যুবক সৌমিত্রর মানবিক অবদানের জন্য আবারও তারা পড়াশোনা জগতে ফিরে আসতে পারবে ভেবে আনন্দিত।
প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের এই যুবকের এমন মানবিক পরিচয় জানতে পেরে বাহবা জানিয়েছে সুন্দরবনের বিশিষ্ট কবি ফারুক আহমেদ সরদার,বিশিষ্ট শিক্ষক যাদব চন্দ্র বৈদ্য,স্বরুপ ঘোষ,পিনাকী সরদার সহ অন্যান্যরা।