আক্রান্ত করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকদের ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধা
নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং –চলছে করোনার দাপট। পারদ চড়ছে তাপমাত্র এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমনেরও।পরিবার পরিজনদের ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেদের কে নিয়োজিত করে রেখেছেন চিকিৎসক,নার্স,পুলিশ কর্মী থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারীকরা।এমত অবস্থায় নিজেদের কাজের প্রতি দৃঢ়তা দেখিয়ে চলেছেন করোনা যোদ্ধারা। পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যে বহু চিকিৎসক,নার্স,পুলিশ কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারাও গিয়েছেন।একমাত্র সাধারণ মানুষ যাতে বিপদ থেকে পরিত্রাণ পায় তারজন্য তাঁরা রাতদিন ২৪ ঘন্টা কাজ করে চলেছেন করোনা যোদ্ধারা। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণ ক্যানিং মহকুমা এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। ক্যানিং মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারীক পরিমল ডাকুয়া করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাশাপাশি ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক প্রবীর হালদার এবং ক্যানিং মহকুমা কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক সমর রায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এই দুই চিকিৎসক ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁতকল পাড়া এলাকায় একটি ফাঁকা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।যদিও সেই ভাড়া বাড়িতেই হোম আইসোলেশন রয়েছেন।যদিও দুই চিকিৎসক করোনা পজিটিভ আক্রান্ত হওয়ার খবর চাউর হতেই বাড়ির মালিক দুই করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।যদিও ক্যানিং কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক সমর রায় বাড়ির মালিক কে জানিয়েছে “আমরা ঘরের মধ্যে ১৪ দিনই আবদ্ধ থাকবো। এখানেই আমাদের চিকিৎসা হবে। আমরা বাইরে বের হবো না। তারপর আমরা সুস্থ হয়ে গেলেই তো আবার আপনাদের পরিষেবা দিতে পারবো।” বাড়ির মালিক এবং পাড়া প্রতিবেশিরা ছেঁকে ধরেন দুই চিকিৎসক কে। তাদের দাবী কোন মতে আর এই ভাড়াবাড়িতে থাকা যাবেনা।এবং অমানবিক আচার আচরণ করতে থাকে দুই চিকিৎসকের উদ্দ্যেশে।দুই চিকিৎসক অনুনয় বিনয় করলেও এলাকার লোকজন কোন কথা শুনতে রাজী হন নি।বরং অমানবিক হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষ জন। বেগতিক বুঝে চিকিৎসক সমর রায় ক্যানিং ১ বিডিও নীলাদ্রী শেখর দে কে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।বিডিও নীলাদ্রী শেখর দে মুহূর্তে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজীর হন।হাজীর হয় এলাকার রাজনৈতিক পদাধিকার ব্যক্তিরাও। বিডিও নীলাদ্রী শেখর দে স্থানীয়দের এবং বাড়ির মালিক কে বুঝিয়ে চিকিৎসকদের থাকার ব্যবস্থা বন্দোবস্ত করেন।
যদিও চিকিৎসক সমর রায় ক্ষোভের সাথে জানিয়েছেন “আমরা সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। অথচ আমাদের জীবনের কোন মূল্যই নেই।সাধারণ মানুষের থেকে এমন অমানবিক আচার আচারণ সত্যি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।”