রাখি পূর্ণিমার আগেই ছোট্ট ক্ষুঁদে ড্যান্সার কে রাখি উপহার
নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং –রাত পোহালেই রাখি পূর্ণিমা। করোনা আবহে সমস্ত অনুষ্ঠান আনন্দ উৎসব মাটি হয়ে গেছে। একরাশ ভীতির মধ্যে আতঙ্কে রয়েছেন সকলেই।করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে চলছে ত্রাহিত্রাহি বর। এমন কঠিন বাস্তব সময়ে সাধারণ মানুষজন ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গৃহবন্দী।একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বিপদের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে বের হতে নারাজ।এছাড়াও একে অপরের আত্মীয়তা,বন্ধুবান্ধবের সৌজ্যনতা প্রায় ভুলে যেতে বসেছেন।সোমবার রাখি পূর্ণিমার আগেই তাই এলাকার বিখ্যাত ক্ষুঁদে খেলোয়াড়,ড্যান্সারদের বাড়ির দরজায় দরজায় রাখি,মিষ্টি,সাবান,মাস্ক,স্যানিটাইজার,পানীয় জলের বোতল ও ফ্রেস গার্ড নিয়ে পৌঁছে গেলেন ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস।
প্রধান উত্তম দাসের সাথে সাথে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবনের বিশিষ্ট কবি তথা সমাজসেবী ফারুক আহমেদ সরদার। রাখি পূর্ণিমার আগে বাড়িতে বাড়িতে কেন এমন রাখি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ?এ প্রসঙ্গে মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তম দাস বলেন “বর্তমান করোনা আবহের আতঙ্কে সমস্ত খেলোয়াড়,ড্যান্সার,সঙ্গীত শিল্পীরা বাড়ির মধ্যে আবদ্ধ রয়েছেন।করোনা সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত ধরণের অনুষ্ঠান বাতিল থাকায় তাঁরা একাকীত্ব অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। রাখি পূর্ণিমা সৌভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রীতির একটি বৃহৎ মিলন উৎসব।সেই উৎসব কে সামনে রেখে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্যানিংয়ের যাঁরা গর্ব তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে রাখি সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।বিশেষ করে আমাদের ক্যানিংয়ের গর্ব জাতীয়স্তরের ক্ষুঁদে ড্যান্সার রুপসা’র বাড়ি সহ অন্যান্য খেলোয়াড়,শিল্পীদের বাড়িতে বাড়িতে রাখি সহ অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। যাতে করে একাকীত্ব ভুলে রাখি পূর্ণিমার দিন বাড়িতে বসেই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন।
রাখি পূর্ণিমার প্রাক্কালে পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাসের কাছ থেকে রাখি সহ অন্যান্য সামগ্র উপহার পেয়ে খুবই ভালো লাগছে বলে জানালেন ড্যান্সার রুপসার বাবা পলাশ ও মা শিবানী বটব্যাল। অন্যদি প্রচুর রাখি পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে পড়ে ছোট্ট ক্ষুঁদে ড্যান্সার ক্যানিংয়ের গর্ব রুপসা।