শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাজ পড়ে প্রাণ যাচ্ছে চাষিদের, উপায় খুঁজতে বৈঠকে বিপর্য়য় মোকাবিলা দপ্তর

News Sundarban.com :
আগস্ট ২, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্ক: বজ্রপাতে রাজ্যে সাম্প্রতিক একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার ভবিষ্যতে এই ধরণের মৃত্যু কমানোর পথ খুঁজছে। আগামী সপ্তাহে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এবিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে। দপ্তর সূত্রে খবর এবছর বর্ষার মরশুমে বজ্রপাতে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে গ্রামাঞ্চলে।বিগত তিনমাসে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় বজ্রপাতে প্রায় ৩০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মাঠে চাষের কাজ করার সময়ই তাদের অধিকাংশ বজ্রাঘাতের শিকার হন।রাজ্য সরকার গত বছর একটি মার্কিন সংস্থার সহায়তায় বজ্রপাতের পূর্বাভাষ দেওয়ার জন্য একটি প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। কলকাতা শহ বিভিন্ন শহরে তা ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট স্থানে বজ্রপাতের দেড়ঘণ্টা আগেই পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ওই প্রযুক্তির ব্যবহার গ্রামাঞ্চলে কীভাবে করা য়ায় বৈঠকে মূলত তা নিয়েই আলোচনা করা হবে।গ্রাম পঞ্চায়েত বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে তৃণমূল স্তরে মানুষকে আগেভাগে সতর্ক করে তাদের প্রাণ রক্ষা করা যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা হবে।

পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে ৮ জেলায় ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। যা সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে।ধাপে ধাপে সারা রাজ্যকেই এই প্রযুক্তির আওতায় আনা হবে বলে স্থির করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। এই প্রযুক্তি ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বছরে ৪২ লক্ষ টাকা । অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি হানি অনেকটাই রক্ষা যাবে বলে দপ্তরের কর্তারা আশাবাদী।যেসব জেলা শহর গুলিকে ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে সেগুলি হল, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, রায়গঞ্জ, জঙ্গিপুর, হলদিয়া, পুরুলিয়া, কৃষ্ণ নগর ও খড়গপুর।তবে বজ্রপাতে গ্রামাঞ্চলে মৃত্যুহার বেশি হওয়ায় নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে নবান্ন। গ্রামাঞ্চলকে দ্রুত ওই প্রযুক্তির আওতায় আনার তৎপরতা শুরু হয়েছে।