শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নো মাস্ক,নো ফুল

News Sundarban.com :
জুলাই ২৯, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং –

ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন বাজারে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে বেশ কয়েক জন যুবক।পুজো,বিয়ে,জন্মদিন,অন্নপ্রাশন,শ্রাদ্ধ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়ির জন্য গোসাবা,বাসন্তী,জীবনতলা সহ ক্যানিং এলাকার মানুষজন ফুল কিনতে আসেন এই ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন ফুল বাজারে।বর্তমানে করোনা আর আম্ফানের জেরে সাধারণ মানুষজন আতঙ্কিত।ফুল বাজারেও কেনাবেচা তলানিতে ঠেকেছে। তারপর করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। এছাড়াও বাড়ির বাইরে পা বাড়ালেই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামুলক।এমন সব কড়াকড়িতে ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন ফুল ব্যবসায়ী বাপ্পা মন্ডল ,অরুন দাস,প্রভাকর দাসেরা ফুল দোকানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল সাজিয়ে অত্যন্ত সচেতনতার মধ্য দিয়ে বিক্রি করছেন ক্রেতাদের কে।মাস্ক হীন কোন ক্রেতা আসলে তাদের কাছে ফুল বিক্রি করছেন না। ফুল ব্যবসায়ীদের দাবী আগে মাস্ক মুখে দিন তারপর ফুল ক্রয় করতে আসুন। অন্যথায় ফুল ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হলেও মাস্কহীন ফুল ক্রেতাদের কে ফুল বিক্রি করতে দায়বদ্ধ নয় ফুল বিক্রেতারা।বুধবার সকালে গৃহস্থের বাড়িতে পুজার জন্য ফুল কিনতে গিয়েছিলেন রাজেশ,সিকান্দর সাহানী সহ অন্যান্য ক্রেতারা।কয়েক জন ফুল ক্রেতার মুখে মাস্ক না থাকায় এক প্রকার ফুল বিক্রী দুর অস্ত,মাস্কহীন ক্রেতা কে দোকানের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেন।
ফুল বিক্রেতা বাপ্পা মন্ডল বলেন “আগের মতো বর্তমানে ফুল ব্যবসায় প্রায় লাভ নেই বললেই চলে। করোনা আর লকডাউনের জেরে ফুল ব্যবসা প্রায় লাটেে ওঠার মতো। তা স্বত্বেও জীবীকার জন্য ব্যবসা করতে হচ্ছে।তবে ব্যবসায় ক্ষতি হলেও মাস্ক হীন ক্রেতার কাছে ফুল বিক্রি করতে দায়বদ্ধ নই। মাস্ক পরে ফুল কিনুন। অন্যথায় ফুল বিক্রি নেই।”

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করতে ফুল বিক্রতাদের এমন সচেতনতার নজীর দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মানুষজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর(৩) পরেশ রাম দাস,স্থানীয় মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস,সমাজসেবী ফারুক আহমেদ সরদার জানিয়েছেন “সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানাবো ফুল বিক্রেতার মতো সামাজিক দুরত্ব মেনে চলুন,মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করুন,সরকারী নির্দেশিকা মেনে লকডাউন পালন করুন। সমস্ত সাধারণ মানুষ সচেতন হলে তবেই করোনা ভাইরাস কে দ্রুত প্রতিহত করা সম্ভব।”