বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিনি নেই,গুজবেই অশৌচ পালন আত্মীয়স্বজন পরিবারের পরিজনদের

News Sundarban.com :
জুলাই ২৫, ২০২০
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং – সঠিক তথ্য আর পরিসংখ্যান না মেলায় দুরন্ত বিদ্যুৎ গতিতে দৌড়ে চলেছে ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস।একের পর এক মিথ্যা গুজবে জর্জরিত সাধারণ মানুষজন ও করোনা আক্রান্তদের পরিবার পরিজনেরা।বিগত কয়েক সপ্তাহ আগেই ক্যানিংয়ের এক প্রতিষ্ঠিত এক পুস্তক বিক্রেতার শরীরে ধরা পড়ে করোনা পজিটিভ।খবর জানাজানি হতেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পাশাপাশি বহিরাগত লোকজনের অবাধ যাতায়াত ঠেকাতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লাগোয়া রাস্তাঘাট বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়ে ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন প্রতিবেশীরা। এপর্যন্ত সমস্ত কিছুই ঠিক ঠিক ছিল।

দিন তিনেক পর খবর রটে যায় করোনা আক্রান্ত ক্যানিংয়ের বই বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে।এমন কি মৃতদেহ পরিবারের লোকজন দেখতে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করায় পরিবারের সকল কে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এমন ভুয়ো খরব বিদ্যুৎ গতিতে দাবানলের মতো পৌঁছে যায় করোনা আক্রান্তের পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়স্বজন সহ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।করোনা আক্রান্ত হয়ে বংশের এক সদস্যের মৃত্যুর জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের লোকজন ধর্মীয় মতে শুরু করেন অশৌচ পালন।দিন চারেক অশৌচ পালনের পর ক্যানিংয়ের ট্যাংরাখালি বঙ্কিম সরদার কলেজ সংলগ্ন এলাকার বৃহৎ এই পরিবারের লোকজনের সম্বিৎ ফেরে।বৃহৎ পরিবার লোকজন জানতে পারেন তাঁদের পরিবারের করোনা আক্রান্ত সদস্যের আদৌ মৃত্যু হয়নি। তিনি সুস্থ রয়েছেন।এমন খবর পাওয়া মাত্র বন্ধ হয় অশৌচ পালন। পরিবারের এক সদস্যের কথায় “নিয়ম নিষ্ঠা মেনে চারদিন বাড়িতে অশৌচ পালন করেছিলাম।এমন কি ক্রিয়াকর্ম করার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে নিয়েছিলাম।সামাজিক দুরত্ব মেনেই ক্রিয়াকর্মের পরিকল্পনা ছিল।সঠিক সময়ের আগেই সঠিক খবর পাওয়ায় এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া গিয়েছে।পাশাপাশি তিনি আরো বলেন,গুজব যে এতো মারাত্মক আকার নিয়ে দ্রুত দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে তা পরিবারের এমন ঘটনায় বাস্তব উপলব্ধি করতে পেরেছি।”