শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের রদবদল

News Sundarban.com :
জুলাই ২৪, ২০২০
news-image

বিশ্লেষণ মজুমদার, ক্যানিং 

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য সমন্বয় কমিটি ও রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলির জেলা কমিটি ঘোষণা করলেন।২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।আর এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়লো বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।২০১১ সালে রাজ্যের ৩৪ বছর বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।

২৯৪ টি আসনের মধ্যে জাতীয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জোটে আসন পায় ২২৭ টি।তবে তৃণমূল কংগ্রেস একক ভাবে আসন পায় ১৮৪ টি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস একা লড়াই করে।২৯৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একক ভাবে ২১১ টি আসনে জয়লাভ করে।তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খায় তৃণমূল কংগ্রেস।৪২ টি লোকসভা আসন নির্বাচনে বিজেপি পায় ১৮ টি,তৃণমূল কংগ্রেস ২২ টি কংগ্রেস ২ টি আসন।ফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসক দলের মধ্যে।
আগামী ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।নির্বাচন হলে কে সরকার গড়বে তা সময়ই বলে দেবে।তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জায়গা কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ।বিরোধী দল গুলিও মরিয়া।ভোট বাক্সে ভোট ভরাতে তারাও বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করছেন।কখনও রেশন দুনীর্তি,কখনও আম্ফান দুনীর্তি,১০০ দিনের কাজে দুনীর্তি সহ বিভিন্ন ইস্যু গুলি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছে বিরোধী দল গুলি।তাই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।টার্গেট ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন।এবার ক্ষমতায় এলে হ্যাটট্রিক করবে তৃণমূল কংগ্রেস।এদিকে রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ১৮০ টি আসন।

ফলে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সাংগঠনিক শক্তি কে আরও বেশি করে মজবুত শক্তিশালি করার লক্ষ্যে রাজ্য সমন্বয় কমিটি ও জেলা কমিটিতে ব্যাপক রদবদল ঘটালেন।২৪ পরগনার জেলার এআইটিসি জেলা কমিটি চেয়ারম্যান হলেন মথুরাপুর কেন্দ্রের তৃণমূলের সাংসদ চৌধূরী মোহন জাটুয়া,তৃণমূলের জেলা সভাপতি হলেন রাজ্য সভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী।পাশাপাশি এই জেলার ৩ টি কো-অর্ডিনেটর পদে আনা হয়েছে ৩ জনকে।জেলার কো-অর্ডিনেটর -১ কাকদ্বীপ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, কো- অর্ডিনেটর  -২ বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মন্ডল, কো-অর্ডিনেটর-৩ পদে ক্যানিং-১ ব্লক যুব তৃণমূলের পরেশরাম দাস।
জেলার কো- অর্ডিনেটর-৩ পরেশরাম দাসকে যেসব বিধানসভা গুলির সমন্বয়কারি হিসাবে দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা,সোনারপুর উত্তর ও বিধানসভা, বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা, ভাঙর, জয়নগর, কুলতলি ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা।এদিকে জেলার কো- অর্ডিনেটর-১ পদে  কাকদ্বীপে বিধায়ক তথা রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে যেসব বিধানসভা গুলির সমন্বয়কারি হিসাবে দেওয়া হয়েছে সেগুলি অগ্নিগর্ভ বাসন্তী,গোসাবা, রায়দিঘী, কুলপি, পাথর প্রতিমা,মগরাহাট পশ্চিম, মন্দিরবাজার,সাগর,কাকদ্বীপ বিধানসভা গুলি।
অন্যদিকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা পুনরায় জেলা যুব সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন।এদিকে ক্যানিং-১ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরেশরাম দাস  তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির জেলা কো-অর্ডিনেটর-৩ পদ পাওয়ার পর মাতলা-২ অঞ্চলের কয়েকশো তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সম্বর্ধনা জানায় পরেশরাম দাসকে।