শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এখন আমি পাকা বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত, বলেন ঝন্টু পুর্কায়েত

News Sundarban.com :
জুলাই ২২, ২০২০
news-image

ঝোটন রয়, নামখানা:

মাত্র দুই বিঘা জমি। তার উপরে ছেলের পড়াশুনা থেকে শুরু করে মেয়ের বিয়ে এমনকি সংসার চালানো এরির উপর সবই করতে হয় ঝন্টু পুর্কায়েতকে। ঝন্টু বাবুর বাড়ি কুলতলী ব্লকের বৈকুন্ঠপুর গ্রামে। সারা বছর ওই 2 বিঘা জমির উপরে সবজি ফলিয়ে কোন রকম সংসার চলত। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমফান সবই যেন ধুলিস্যাৎ করে দিল। বাড়িঘর থেকে শুরু করে গাছপালা, এমনকি পুকুরের মাছ সবই নষ্ট হয়ে গেল। একদিকে ছেলের পড়াশুনা, আর অন্যদিকে সংসার চালানো, আর এই করোনার প্রকপে লকডাউনের বাজারে ঝন্টু বাবুর সংসার চালানোর ক্ষেত্রে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছেন।

এই প্রসঙ্গে ঝন্টু বাবু বলেন, বলেছিলতো এই আমফান ঝড়ে বাড়ির ক্ষয়ক্ষতির জন্য কিছু টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু আমফান ঝড়ে বাড়ির ক্ষয়ক্ষতির কোনো টাকা পয়সা আমি পাইনি‌। এমনকি আমার মাটির বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এই ঝড়ে। আমি সেই বাড়িটি কে কোনরকম ভাবে ধার-দেনা করে আবার বাড়িটি ঠিক করি।

প্রত্যন্ত সুন্দরবনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচার জন্য মাটির বাড়ি আজ পাকা বাড়িতে রূপান্তরিত হচ্ছে। ইন্দ্রাআবাসন যোজনা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সব-ই সরকারি ব্যয়ে পাকা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তাই গ্রামবাংলায় মাটির বাড়ি আজ আর খুব একটা দেখা যায় না।

ঝন্টু বাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, তখনকার সময়ে আমার একখানা বাড়ি এসেছিল ইন্দিরা আবাস যোজনা। কিন্তু সেই সময় পঞ্চায়েত আমার নাম কেটে অন্যের নামে সেই বাড়ি পাইয়ে দেয়। এখন আমি পাকা বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত।
এই অভাব-অনটনের দিনে আমি আর পাকা বাড়ি করতে পারব কিনা আমি জানি না। এই লকডাউন এর বাজারে মাথার উপরে ৩০ হাজার টাকা দেনা হয়ে গেছে। এই অবস্থাতে যদি সরকারি সাহায্য পাওয়া যেত তাহলে কিছুটা আমার চাপ মুক্ত হত।