শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল কোবরা উদ্ধার করেও বাঁচাতে অক্ষম গ্রামবাসীরা

News Sundarban.com :
জুলাই ৭, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং –

অন্যান্য দিনের মতো মাঠের জলাশয়ে মাছ ধরার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় আটল বসিয়েছিলেন বাসন্তী ব্লকের ৬ নম্বর সোনাখালি গ্রামের জনৈক গ্রামবাসী কমল পুইন।মঙ্গলবার সকালে যথারীতি আটল তুলতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে যান কমল বাবু। বিশাল আকৃতির কোবরার গর্জন আর ফণা দেখে ভয় পেয়ে যান তিনি।আটলের মধ্যে দেখতে পায় একটি কোবরা(পদ্ম কেউটে)সাপ আটলে মধ্যে মাছ খেতে গিয়ে আটকে পড়েছে।তিনি তৎক্ষণাদ ভয় পেয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।পরক্ষণে অন্যান্য বেশকিছু গ্রামবাসীদের ডেকে আবারও মাঠে যায়। কোন প্রকারে কোবরা কে উদ্ধার করে গ্রামের মধ্যে ফিরে আসেন। বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে সাপটি কে না মেরে ফেলে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন গ্রামবাসীরা। কোথাও কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে পরিস্থিতি বেগতিক এবং যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ভেবেই ভয়ে আতঙ্কে সাপটিকে মেরে ফেলেন গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় সমাজসেবী কিশোর দাস আপেক্ষ করে জানিয়েছেন “সাপ টিকে না মেরে বাঁচানোর উদ্যোগ নিলেও কোথাও থেকে কোন ভাবে সাহায্যের আশ্বাস না পেয়ে গ্রামবাসীরা সাপটি মেরে ফেলে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। এমন সব ঘটনার জন্য সরকার কিংবা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাপ কে বাঁচানোর উদ্যোগ নিলে এমন ভাবে সাপ না মেরে বাঁচানো সম্ভব।কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?অগত্যা সাধারণ গ্রামবাসীরা ভয়ে আতঙ্কে সাপ দেখা পেলেই মেরে ফেলছেন নিরুপায় হয়ে। গত পাঁচ বছর আগেই একটি বিশাল আকৃতির কেউটে সাপ আমার মা রুপালী দেবী কে কামড় দিয়েছিল। সাপটি না মেরে অন্যত্র তাড়িয়ে দিই।মা কে অবশ্য ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুস্থ হয়ে যায়। সেই থেকে গ্রামের প্রতিবেশীদের কে সাপ না মারার জন্য সচেতন করি।

গত ৭ জুন একটি বড় কেউটে সাপ উদ্ধার করে বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়ে বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা কে ঘটনার কথা জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি অনেক সংস্থাকেও জানিয়েছিলাম। কোথাও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায় নি। অবশেষে সাপটি মেরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। সাপ আমাদের পরিবেশ রক্ষা করে। এমন ভাবে প্রতিনিয়ত সাপ মারা পড়লে ক্ষতি হবে পরিবেশের।কারণ সাপ পরিবেশের বন্ধু। সরকারী ভাবে সাপ কে বাঁচানোর মতো জরুরী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।”