শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাল থেকে রাজ্যের বহু এলাকায় ফের কঠোর ভাবে লকডাউন

News Sundarban.com :
জুলাই ৭, ২০২০
news-image

নিউজ সুন্দরবন ডেস্কঃ  করোনা সংক্রমণে লাগাতার বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসন সব কনটেনমেন্ট এলাকায় ফের কঠোর ভাবে লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সব জেলার জেলাশাসকদের উদ্দ্যেশ্যে এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। ৯ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে।তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি নয় এমন সব পরিষেবা বন্ধ রাকা হবে। তাছাড়া যে কোনও ধরনের জমায়েতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শিল্প সংস্থা, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বাজারও বন্ধ রাখা হবে । কন্টেনমেন্ট জোনে যে কোনও ধরনের গণ পরিবহণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা সরকারি বা বেসরকারি অফিসে হাজিরার ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন। তাঁদের যা দরকার স্থানীয় প্রশাসন তা বাড়িতে পৌঁছে দেবে। কলকাতার ক্ষেত্রে কোন কোন এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হবে তা আলোচনা করে ঠিক করবে কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ। জেলার ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন।পরিবর্তিত গাইডলাইনের সংজ্ঞা অনুসারে কনটেনমেন্ট জোন ও বাফার জোন চিহ্নিত করে সেখানে কঠোর ভাবে লকজাউন কার্যকর করতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য বর্তমানে করোনা সংক্রমিত এলাকাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অ্যাফেক্টেড (এ) ও বাফার (বি) বাফার জোন।এই দুই এলাকাকে একত্র করে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করতে বলা হয়েছে।

উ্ল্লেখ্য, আনলক পর্বের শুরু থেকেই করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে রাজ্যজুড়ে। সেই কারণেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ফের কড়া লকডাউন জারির এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবারই উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার তরফে নবান্নের কাছে আবেদন করা হয়েছিল ফের কড়া লকডাউন জারি করার জন্য। সেই আবেদনেই ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার।ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক জেলাশাসকের দফতরে। যেখানে বলা হয়েছে, কোন কোন বিষয়গুলি লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বন্ধ থাকবে বাজার, তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান যেমন মুদি, সবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফল, ওষুধ- এগুলির ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়। সেক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্তই খোলা থাকবে এই দোকানগুলি।পাশাপাশি, হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে চা-সহ রাস্তার ধারের সমস্তরকম খাবারের দোকান।

পাশাপাশি, বন্ধ রাখতে হবে সবরকম চা-এর দোকান। বন্ধ থাকবে সবরকম অফিস-কলকারখানা। বন্ধ থাকবে সমস্তরকম ব্যবসায়ীক লেনদেন, কাজকর্ম। এছাড়াও সবরকম পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ বাস, অটো, টোটো, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব, রিক্সা কিছুই চলবে না এই জায়গায়।ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে জারি করা হয়েছে লকডাউন। তারমধ্যে রয়েছে মালদার তিনটি পুরসভা এলাকা। বুধবার থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে লকডাউন। মালদার ইংরেজবাজার, মালদাটাউন এবং কালিয়াচকে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকায় লডাউন জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বারাসাত পুলিশ জেলার নটি থানা এলাকায় সমস্ত রকমের জমায়েত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। করোনা পজিটিভের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।সেই অনুযায়ী আজ পুলিশ মাইকিং করে রাস্তার ধারে থাকা সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। রাস্তাঘাটে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।এবার গোটা রাজ্যের জন্যই কেন্দ্রীয় ভাবে লকডাউন জারি করল রাজ্য।