শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পারিবারিক বিবাদে বধুকে মারধোর,বাড়িঘর ভাঙচুর, লুঠপাট

News Sundarban.com :
জুলাই ২, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং –

জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক গন্ডগোলের জেরে এক গৃহবধুকে বেধড়ক মারধোর করে বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুঠপাটে করার অভিযোগ নাম জড়ালো শাসক দলের নেতাকর্মীদের।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী ব্লকের ফুলমালঞ্চ গ্রামপঞ্চায়েতের পানিখালির নেংটাখালি গ্রামে।গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধু দেবলা নস্কর ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের নেংটা খালি গ্রামের মন্টু নস্কর ও তাঁর ভাই নিমাই নস্করের মধ্যে পাঁচকাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চলছিল।গত এক সপ্তাহ আগে পারিবারি সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য পাড়ায় শালিসি সভা হয়।শালিসি সভায় নিমাই নস্করের ভাইপো স্থানীয় যুবতৃণমূল কর্মী নেপাল নস্কর উপস্থিত থাকায় শালিসি সভা ভেস্তে যায়। অভিযোগ নেপাল নস্করকে মারধোর করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বিচারস্থল থেকে তাড়িয়ে দেন স্থানীয় মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন।পরবর্তী সময়ে প্রতিদিন রাতে নেপাল নস্করের খোঁজে তাঁর বাড়িতে মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন হানাদেয় বলে অভিযোগ।

যদিও নেপাল কে না পেয়ে তাঁরা ফিরে যায়।অন্যান্য দিনের মতো বুধবার রাত ১১ টা নাগাদ নেপাল নস্করের খোঁজে তাঁর বাড়িতে হাজির হয় স্থানীয় মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্টু নস্করের নেতৃত্বে জনা তিরিশ লোকজন।নেপাল নস্কর কে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী দেবলা নস্কর কে লাঠি,রড দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে।পাশাপাশি বাড়িঘর,বাইক ভাঙচুর করে লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ।বেধড়ক মারধোরে ফলে দেবলা দেবী রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়লে মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন পালিয়ে যায়। রাতেই দেবলা দেবীর পরিবারের লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দেবলা দেবীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশাঙ্কাজনক। ঘটনার বিয়ষ জানিয়ে দেবলা দেবীর স্বামী নেপাল নস্কর বাসন্তী থানায় মাদার তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মন্টু নস্কর, বিশ্বনাথ নস্কর,রণজিত নস্কর সহ ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।বাসন্তী থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকায় রয়েছে চরম উত্তজনা।
যদিও স্থানীয় মাদার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবী “এটা নিছক পরিবারিক ব্যাপার,জোর করেই তৃণমূল কংগ্রেসের নাম জড়াতে চাইছে।”

অন্যদিকে স্থানীয় যুবতৃণমূল নেতৃত্বের দাবী “একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে বাসন্তী ব্লকে অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করছে বেশকিছু সমাজ বিরোধী লোকজন।বাসন্তীতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ।”