শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আরেক ভাইরাস শনাক্ত চীনে,মানুষকে আক্রান্ত করার সব ধরনের লক্ষণ রয়েছে

News Sundarban.com :
জুন ৩০, ২০২০
news-image

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। চীনে প্রথম দফার সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণের আসার পর ফের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ এড়াতে কঠোর লকডাউন করা হয়েছে অনেক এলাকা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরনের ফ্লু ভাইরাস চিহ্নিত করেছেন। এই ভাইরাসটির বিশ্বজুড়ে মহামারি হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

চীনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ফ্লু ভাইরাসটি শূকরবাহিত। তবে এটির মানুষকে আক্রান্ত করার মতো সব ধরনের লক্ষণ রয়েছে। খবর বিবিসির

গবেষকরা আশঙ্কা, ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে করে বিশ্বজুড়ে নতুন মহামারি শুরু হতে পারে। নতুন ভাইরাস হওয়ায় এটি থেকে মানুষের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে বলেও মনে করেন তারা।

তবে এখনই ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু না থাকলেও এটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এ মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে মেক্সিকো থেকে ছড়িয়ে পড়া সোয়াইন ফ্লু বিশ্বে মহামারির রূপ নেয়। ভাইরাসটি যে রকম প্রাণঘাতী হবে বলে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেটি ততটা মারাত্মক হতে পারেনি। এর বড় কারণ বহু বয়স্ক মানুষ আগে থেকেই এটি প্রতিরোধ করার সক্ষমতা ধারণ করতে পেরেছিলেন। সম্ভবত এর কারণ ছিল বেশ কয়েক বছর আগে থেকে ছড়িয়ে পড়া অন্য ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে এটির অনেক মিল ছিল।

চীনে নতুন যে ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গেছে তার সঙ্গে ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লুর মিল রয়েছে। তবে এর সঙ্গে নতুন কিছু পরিবর্তন যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নতুন ভাইরাসটি বড় কোনো হুমকি তৈরি করেনি। নতুন এই ফ্লু ভাইরাসটিকে গবেষকেরা জি৪ইএএইচ১এন১ নামে অভিহিত করছেন। এটি মানুষের শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে বেড়ে উঠতে এবং বিস্তার ঘটাতে পারে।

গবেষকেরা প্রমাণ পেয়েছেন, যারা চীনের শূকর এবং কসাইখানা ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করছেন ভাইরাসটি সম্প্রতি সেসব মানুষকে আক্রান্ত করা শুরু করেছে। বর্তমানের ফ্লু ভ্যাকসিন ব্যবহার করে নতুন ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।

ভাইরাসটির ওপর নজর রাখার প্রয়োজন বলে মনে করছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রফেসর কিন-চো চ্যাং ও তার সহকর্মীরা। প্রফেসর কিন-চো চ্যাং বলেন, এই মুহূর্তে আমরা করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। কিন্তু আমাদের অবশ্যই নতুন ভাইরাসের সম্ভাব্য বিপদের ওপর থেকে চোখ সরানো চলবে না।

যদিও তিনি বলেছেন, নতুন এই ভাইরাসটি এখনই সমস্যা তৈরি করছে না। তবে আমাদের এটি কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত হবে না।