শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিজের শোরুমে নিজেই চোর

News Sundarban.com :
জুন ২৮, ২০২০
news-image

বিশ্লেষন মজুমদার, ক্যানিং 

নিজের শোরুমে নিজেই চুরি করে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করা ছক কষেছিলেন এক মোবাইল শোরুম মালিক।সেই মতো গত ২৫ জুন জীবনতলা থানার অধিনস্থ থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে জীবনতলা বাজারে অবস্থিত মোবাইল শোরুমে চুরিও হয়েছিল।এই চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যপকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল ।এমনকি চুরির ঘটনা ঘটার পর ‘আলি মোবাইল’ শোরুমের রাখা নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং ৩০ টি দামী মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছে বলে জীবনতলা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন মোবাইল শোরুমের মালিক মহম্মদ নুর আহমেদ মোল্লা।জীবনতলা থানার নাকের ডগায় এমন চুরির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হন স্থানীয় অন্যান্য দোকানদাররা।এমন বড়সড় চুরির ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।শুরু হয় তদন্ত।একযোগে তদন্ত শুরু করেন বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ,জীবনতলা থানা,ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীক ও ক্যানিং সিআই। তদন্ত শুরু হতেই ৭২ ঘন্টার মধ্যে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে।পুলিশি তদন্ত হতেই শোরুমে চুরি করে লুকিয়ে রাখা নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ৭ টি দামী মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি শোরুম মালিক কে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করতেই রহস্যের উন্মোচন হয়।

পুলিশ সুত্রের খবর চুরির ঘটনায় শোরুম মালিক কে জিঞ্জাসাবাদ করে জেরা শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে শোরুম মালিক স্বীকারোক্তি করে যে “তিনি বেসরকারী সংস্থা থেকে ৪৭ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এমন সংকট থেকে মুক্তি পেতে নিজের দোকানে চুরির ছক কষে এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।”
যদিও পুলিশি তদন্তে সব ছক ভেস্তেগিয়ে ধরা পড়ে যায় এই অসাধু ব্যবসায়ী।পুলিশ আলি শোরুমের মালিক মহম্মদ নূর আহমেদ মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে।ধৃতকে আজ আলিপুর এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।অন্যদিকে এতোবড় মিথ্যা চুরির ঘটনার সত্য উন্মচিত হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষজন খুবই খুশি।