ব্যক্তিগত উদ্যোগে জলনিকাশী নালা-নর্দমা তৈরী করছেন সমাজসেবী আইনজীবী
সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –
করোনার দাপট রয়েছে অব্যাহত।আম্ফান দাপট দেখিয়ে বিদায় নিলেও অসহায় হয়ে পড়েছেন সমস্ত মানুষজন।ইতি মধ্যে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল।কখনো হালকা আবার কখনো ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বর্ষার আগমনে দেখা দিতে পারে ডেঙ্গী,ম্যালেরিয়ার মতো রোগব্যধি।বর্ষাকালের শুরুতেই এমন সব রোগের হাতে থেকে আগাম মুক্তি পেতেই এলাকার জলনিকাশী,নালা নর্দমা,জলাজঙ্গল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা আইনজীবী তিতাস মন্ডল।শুক্রবার সকাল থেকেই একক উদ্যোগে এবং নিজের ব্যাক্তিগত খরচেই ক্যানিংয়ের দিঘীরপাড় গ্রামপঞ্চায়েতের তাঁতকলপাড়া থেকে রায়বাঘিনী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার জলনিকাশী নালা তৈরীর কাজ শুরু করলেন জেসিবি গাড়ি দিয়ে।মুলত বর্ষাকালে ক্যানিং -গোলাবাড়ি রোডের দুইপাশে নোংরা আবর্জনায় ভরপুর তাঁকলকল পাড়া থেকে রায়বাঘিনী পর্যন্ত।জলনিকাশী ব্যবস্থাও বেহাল।রাস্তার পাশে এই সমস্ত জায়গায় বর্ষার জল জমে থাকায় মশা মাছির আঁতুড়ঘর তৈরী হয়।যার ফলে এলাকায় ডেঙ্গী,ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রদুর্ভাব ঘটে। চরম সমস্যায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দরা।আর এমন সব রোগের হাত থেকে এলাকাবাসীদের মুক্তি দিতে একক উদ্যোগে নালানিকাশী তৈরী কাজ শুরু করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সমাজসেবী তিতাস মন্ডল।তিতাস বাবু এমন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস,ক্যানিং ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি পরেশ রাম দাস সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। বিট্রিশ আমলে শহর ক্যানিং। ক্যানিং থানার অর্ন্তগত দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বসবাস করেন তিতাস মন্ডল।বর্ষার সময় প্রতিনিয়ত বর্ষার জল জমে থাকে। নোংরা কাদাজল মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।তারপরও রয়েছে মারাত্মক রোগব্যধি। যাতে করে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তার জন্য একক ভাবে এমন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানালেন সমাজসেবী তথা আইনজীবী তিতাস মন্ডল।অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা তিতাস বাবুর এমন মানবিক কাজের জন্য তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের দাবী তিতাস বাবুর এমন কাজের পর পঞ্চায়েত যাতে উদ্যোগ নিয়ে জলনিকাশীর নালা পাকাড্রেন করে তারজন্য দাবী জানাবো।