শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জীবন জীবীকার টানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নদীতে মৎস্যজীবীরা

News Sundarban.com :
মে ১১, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন সংস্থানের জন্য সুন্দরবনের নদী খাড়ী জঙ্গলের উপর নির্ভর করতে হয় এলাকার মৎস্যজীবীদের। করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে চলছে লকডাউন। আর সেই লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যে সরকারী নিষেধাঞ্জা মেনেই কাজে যাচ্ছেন না সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা।নদীতে মাছ ধরতে যেতে না পারায় চরমভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছেন তাঁরা।এরপর সামনেই এসে পড়েছে ইলিশের মরশুম।অর্থের অভাবে এখনও পর্যন্ত জাল কিংবা নৌকা মেরামত করেননি মৎস্যজীবীরা।জানাগেছে অন্যান্য বছরের ন্যায় আগামী ১৫ জুন থেকেই শুরু হবে গভীর সমুদ্র কিংবা নদীতে ইলিশ ধরার মরশুম।সারা বছরের তুলনায় এই ইলিশের মরশুমে একটু বাড়তি রোজগারের আশায় ভালো মতো প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন মৎস্যজীবীরা।নতুন ট্রলার কিংবা নৌকা তৈরী করার পাশাপাশি পুরানোগুলি কে সঠিক ভাবে মেরামত করে নেন। তারপর ইলিশ ধরার নির্দিষ্ট জাল ও কিনে রাখেন আগেভাগেই।বর্তমানে লকডাউন চলায় দেশ তথা রাজ্যে সাধারণ যানবাহন বন্ধ। ফলে মৎস্যজীবীরা কাজ হারিয়ে একদিকে যেমন চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন তেমনই ইলিশের মরশুের জন্য জাল কিংবা ট্রলার,নৌকা মেরামতির সামগ্রীও কিনতে পারছেন না।অন্যদিকে এই সুন্দরবনের নদীনালার উপর মাছ,কাঁকড়া,মধু সংগ্রহ করে জীবীকা নির্বাহ করেন প্রায় চার লক্ষের ও বেশী মৎস্যজীবী। বিগত বছরগুলির ন্যায় চলতি বছরে মহামারী করোনার দাপট আর লকডাউনের জেরে এই সমস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মৎস্যজীবীরা পড়েছেন চরম সংকটে।অগত্যা বেঁচে থাকার তাগিদে তারা আর ঘরে বসে থাকতে রাজী নন।উপার্জনের তাগিদে লকডাউনকে উপেক্ষা করে ছোট ছোট নৌকা এবং জাল নিয়ে নেমে পড়েছেন নদীখাঁড়িতে।সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই নদীতে চলছে মাছ কাঁকড়া ধরার কাজ।
মৎস্যজীবীদের দাবী দীর্ঘ প্রায় ৪৫ দিন হয়ে গেল লকডাউন।কোন প্রকার উপার্জন থাকায় সঞ্চিত অর্থ শেষ।পরিবার পরিজনরা অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে রেশনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া শুরু করায় কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র চাল,আটায় তো আর সংসার চলবে না।তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নদীতে মাছকাঁকড়া ধরার জন্য নেমে পড়েছি।