বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পবিত্র রমজান মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়দের খাদ্যসামগ্রী সহ মাছ তুলে দিলেন যুব সভাপতি

News Sundarban.com :
মে ৫, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং –

চলছে করোনার দাপট। চলছে লকডাউনও। সেই সাথে সাথে শুরু হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পবিত্র রমজান মাস।পবিত্র এই রমজান মাসে প্রতিটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন উপবাস থেকে রোজা রাখেন।করোনা দাপট আর লকডাউনের কষ্ট উপেক্ষা করেন রোজা রাখছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন।রমজান মাসে রোজার রাখার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য। লকডাউন চলায় তেমন ভাবে পুষ্টিকর খাদ্য,ফলমূল,মাছ বাজারে প্রায় নগন্য। তারপর আছে অগ্নিমূল্য।পবিত্র রমজান মাসে এমনই সংকটময় মুহূর্তে মাতলা ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বসবাসকারী শতাধিক দরিদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মাতলা ২ অঞ্চল যুবতৃণমূল সভাপতি অরিত্র বোস।মঙ্গলবার সকালে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে হাজীর হয়ে দরিদ্র সংখ্যালঘু পরিারের হাতে তুলেদেন পুষ্টিকর ফলমূল,খাদ্যসামগ্রী সহ মাছ।হঠাৎ খাদ্যসামগ্রীর সাথে মাছ কেন, জিঞ্জাসা করতেই মাতলা ২ অঞ্চল যুবতৃণমূল সভাপতি অরিত্র বোস বলেন “পবিত্র রমজান মাস চলছে। লকডাউন চলায় সঠিক সময়ে বাজারহাট করতে পারছেন না অনেকেই। তারপর ভিনরাজ্যের মাছ ক্যানিংয়ে আর আসছে না। চলছে মাছের সংকটও। সারাদিন উপোস থাকার পর পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। সেই কারণে আজ শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের হাতে অন্যান্য প্রোটিন খাদ্যসামগ্রীর সাথে মাছ তুলে দিয়েছি।রোজা চলাকালীন আগামী দিনে আবার ও মাছ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

রোজার সময় বড় বড় মাছ পেয়ে খুশি তানজিরা,সহেলি ,আকিজা,মনসুরাদের মতো গৃহবধুরা।
খ্যাদ্য সামগ্রীর সাথে মাছ দেওয়া প্রসঙ্গে মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস জানিয়েছেন ,ধর্ম যার যার উৎসব সবার’।রোজার মাসে খাদ্যসামগ্রীর সাথে মাছ। সত্যি খুব ভালো উদ্যোগ। অরিত্র একক ভাবে উদ্যোগ নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে যে ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তা প্রশংসনীয় ব্যাপার।