বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা,লকডাউন ও ঘূর্ণাবর্ত সুন্দরবনে এখন দোসর

News Sundarban.com :
মে ৪, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

করোনা আতঙ্ক যতই জাঁকিয়ে বসছে, আবহাওয়াও ততই বাধ সেধেছে। গোটা বিশ্ব কোভিড-১৯ মারণ ভাইরাস রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সমাজের দুর্বল অংশের উপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

একে করোনায় রক্ষা নেই,তারপর আবার লকডাউন পাশাপাশি ঘূর্ণাবর্ত ও দোসর। কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন আক্রান্তের ঝড় উঠছে রাজ্যে, সেই সময়ই প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলার আকাশে।

করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির কোনো সহজ পথ নেই। এই মহামারী থেকে বাঁচতে হলে আমাদের লড়াই করতে হবে, একতাবদ্ধ থাকতে হবে সক্রিয় ভাবে।পালন করতে হবে লকডাউন। মানতে হবে সামাজিক দুরত্ব। বিশ্বে মন্দা শুরু হয়ে গেছে। গত তিন মাসের বিশ্ববাসী কল্পনাতীত নানা সংকটে নিমজ্জিত, আক্রান্ত হওয়া, মৃত্যু, লকডাউনে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে অস্থিরতা হয়ে পড়া,আর্থিক সংকট, মৃত্যুভয়, গৃহবিবাদ, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা,খাদ্য সংকট ইত্যাদি। এর মধ্যে সর্বাধিক হচ্ছে, মৃত্যুভয়,খাদ্য ও আর্থিক সংকট। ভয়াবহ খাদ্য ও আর্থিক সংকটের ছায়া এসে পড়েছে সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্বদিকের প্রান্তিক গ্রামগুলিতে।সুন্দরবনের উনিশটি ব্লকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষের অধিক মানুষ বসবাস করেন। এই মুহুর্তে চাষাবাদ বা মাছ ধরার মতো স্থানীয় জীবন জীবিকার বেহাল অবস্থা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাব তো আছেই। স্বাভাবিক ভাবে এই অঞ্চল দারিদ্রের মাপকাঠিতে বাকি জেলার তুলনায় কয়েকগুণ দুর্বল।আর এমন অস্থিরত সংকটময় মুহূর্তেমতো অবস্থায় এগিয়ে এসেছে পূর্বাশা ইকো হেল্পলাইন।

সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের দক্ষিণ-পূর্বের শেষতম চরঘেরী,শান্তিগাছী,পরশমনি,লাক্সবাগান,লাহিড়ীপুরের মতো গ্রাম। এই সমস্ত গ্রামের মানুষজন দারিদ্র সীমার নীচে।এই সমস্ত গ্রামবাসী ও বাঘে ধরা বিধবাদের এবং প্রতিবন্ধকতা আছে এমন পরিবারকে পূর্বাশা থেকে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী চাল,ডাল,তেল,আলু,পেঁয়াজ, সোয়াবিন,সাবান চারশো জনকে তুলে দেন।