ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘অভিযুক্তকে’ দেখেই মন গলে জল ওসি-র
বয়সে নুব্জে পড়া শরীরটার মতোই তাঁর দোকানও। চার-পাঁচ ফুট জায়গা জুড়ে বাঁশ-ত্রিপল দিয়ে তৈরি। এ দিক ও দিক ঝুলছে বিভিন্ন দেবতার ছবি। তেনাদেরই জোরে যেন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে অশীতিপর প্রীতি রায়ের চায়ের দোকানটি। লকডাউনে এন্টালির ফুটপাথ ধু-ধু করলেও তাঁর চায়ের দোকানটি খোলা। তবে, খোলা বললে ভুল হবে। পুলিসের নজর এড়িয়ে ওই যতটুকু খোলা যায়। দু-একটা বিক্রি হলে তবেই পেটের খিদে মিটবে। এই আশায় দোকানটি খুলে রাখেন বৃদ্ধ।
লকডাউনে দোকান খোলা রাখায় কলকাতা পুলিস কমিশনারকে ট্যাগ করে টুইট করেছিলেন কোনও এক জনৈক। সেই ইনফরমেশনের ভিত্তিতে তদন্তে নামেন এন্টালি থানার ওসি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ‘অভিযুক্তকে’ দেখেই মন গলে জল ওসি-র। লকডাউনের বাজারে কেন দোকান খোলা হয়েছে, প্রশ্ন করা হলে, বৃদ্ধ বলেন, “এ দোকান না খুললে পেটে ভাত জুটবে না। জানি, তাই তো ভয়ে ভয়ে দোকান খুলি।”-zee24