বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা নিয়ে ফ্রন্ট লাইনে রণাঙ্গণে সুন্দরবনের লোকমান,বৃষ্টি উপেক্ষা করে ত্রাণ দিলেন

News Sundarban.com :
এপ্রিল ২৩, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –

দাদা কবে যাবো খাওয়া হচ্ছে না। কান পাতলেই বাসন্তী ব্লকের কুলতলি এলাকায় এমনই করুণ দুঃখ দূর্দশার কথা শুনতে পাওয়া যায়।অসহায় দরিদ্র মানুষজন কে এমন কথা যাঁর উদ্দ্যেশে বলতে শোনা যায় তিনি হলেন বাসন্তী ব্লকের কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটির সর্বময় কর্তা লোকমান মোল্ল্যা। আর কেনই বা বলবে না ।লোকমান মোল্ল্যা করোনা বিপর্যয় মোকাবিলার প্রথম পর্যায় থেকে জীবন বাজী রেখে ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়িয়ে কর্মপ্রণালি শুরু করেছেন।সেই সুবাদে শুরু থেকেই লোকমান বাবুর কাছে দরিদ্র মানুষের আনাগোনা?না না। ভিন রাজ্য ,ভিন জেলা কিংবা ভিন্ন ব্লকের লোকজন নয়। সমস্ত লোকজনই পিছিয়েপড়া সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকেরই। কেউবা মুটে মজদূর,কেউবা পরিবহন কর্মী,কেউবা গ্রামের খেটে খাওয়া দরিদ্র চাষী,মৎস্যজীবী।সকলে অসহায় হয়ে পড়েছেন লকডাউনে।অসহায় হয়ে পড়বেন না বা কেন?করোনা ভাইরাসের দাপট চলছে যে!পাশাপাশি লকডাউনও তো চলছেই।আর এই দুই জোড়া ফলায় বাসন্তী ব্লকের পিছিয়েপড়া মানুষজন গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন। কাজকর্ম লাটে। যতটুকু সঞ্চিত গচ্ছিত ছিল তা শেষের পথে।বর্তমানে অনাহারে কখনও বা অর্ধাহারে রয়েছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত পিছিয়েপড়া এলাকা এই বাসন্তী ব্লকের দুঃস্থ দরিদ্ররা।তবে তারা চাতকের মতো তাকিয়ে লোকমান বাবুর দিকে।আর লোকমান বাবুও ধারাবাহিক ভাবেই ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করেন ত্রাণ দেওয়ার কাজ ধারাবাহিক ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। লোকমান বাবুর দাবী সুন্দরবনের একটা মানুষ যাতে অনাহারে কষ্ট না পায় সেদিকে নজর রেখেই লকডাউন চলা পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে এমন ত্রাণ দেওয়ার কাজ চলবে।

তিনি প্রথম থেকেই নিজের সোসাইটির সামর্থ অনুযায়ী এলাকার চিকিৎসক,নার্স,আশাকর্মীদের কে পিপিই পোশাক,মাস্ক,হ্যান্ড গ্লাভস,স্যানিটাইজার দিয়ে ছিলেন। এবার শুরু করলেন ত্রাণ। সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া বাসন্তী ব্লকের প্রান্তিক চাষী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষ,মৎস্যাজীবী,পরিবহণ কর্মী সহ এলাকার দরিদ্র মানুষজন চর্ম বিপর্যয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকমান বাবু ধারাবাহিক ভাবে পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য সামগ্রী দেওয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যে বাসন্তী ব্লক এলাকার প্রায় ২০০০ অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন।