শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করেই ত্রাণ বিতরণ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত পিছিয়েপড়া এলাকায়

News Sundarban.com :
এপ্রিল ২০, ২০২০
news-image

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -করোনা ভাইরাসের দাপটে ত্রাহি ত্রাহি বর।ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে জারি রয়েছে লকডাউন। সেই অসহায় মুহূর্তে চরম সংকটে পড়েছেন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পিছিয়েপড়া বাসন্তী ব্লকের অসংখ্য পরিবহন কর্মী ও দুঃস্থ মানুষজন।সংকটময় পরিস্থিতিতে করোনার দাপট শুরু থেকে ফ্রন্ট লাইনে কর্মরত চিকিৎসক,নার্স,পুলিশ প্রশাসন অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন।সাময়িক ভাবে তাঁদের হাতে পিপিই পোশাক,স্যানিটাইজার,মাস্ক,সাবান এবং কয়েক হাজার হ্যান্ড গ্লাভস তুলে দিয়ে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটির কর্ণধার লোকমান মোল্ল্যা।সোমবার দুপুরে বাসন্তী ব্লকের প্রায় পাঁচশো পরিবহন কর্মী ও দুঃস্থ মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়ে আবার ও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করলেন। শুধুমাত্র ত্রাণ তুলে দিয়ে ক্ষান্ত থাকেন নি । রীতিমতো ত্রাণ নিতে আসা প্রটিটি পরিবহন কর্মী ও দুঃস্থ মানুষদের কে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ হয়েছে কি না সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। তারপরই তুলে দেন ত্রাণ। এলাকায় এ পর্যন্ত কোন ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসে সংক্রণ না হওয়ায় খুশি লোকমান বাবু সহ এলাকার মানুষজন।উল্লেখ্য করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত সমস্যা আমাদের অস্থিরতা অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই অবস্থায় একমাত্র রুজি- রোজগারের রাস্তা বন্ধ হয়ে সমস্যায় পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। কিন্তু বিপন্ন সময়ে মানুষই তো মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাই আমাদের রাজ্যেও নানারকম সহায়ক উদ্যোগে সামিল হচ্ছেন বড় মানসিকতার সম্পদশালী কিছু মানুষ।

সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যে এমনই এক মানবিক উদ্যোগ নিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বাসন্তী ব্লকের কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটির কর্ণধার লোকমান মোল্ল্যা।একান্ত তাঁর নিজের সোসাইটির দান ও ওএনজিসি যৌথ উদ্যোগে বাসন্তী ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় পাঁচশো পরিবহন কর্মী ও দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হলো কিছু খাদ্য সামগ্রী।
সাধারণত এধরনের আয়োজনে টোকেন পাওয়া মানুষের থেকে বেশি লোকের ভিড় পুরো প্রয়াসটাকেই বিশৃংঙ্খল করে দেয়।এই সমস্যাটা যে এক্ষেত্রেও হতে পারে তা বুঝেছিলেন কুলতলি মিলন তীর্থ সোসাইটির কর্ণধার লোাকমান বাবু।কিন্তু অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতায পরিবহন কর্মী ও় দুঃস্থ মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন তিনি।

লোকমান বাবুর সাথে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন তাঁর সোসাইটির সকল সদস্য।
অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত পিছিয়ে থাকা বাসন্তী ব্লকের মানুষগুলো যখন লোকমান বাবুর হাত থেকে খাদ্য সামগ্রী নিচ্ছিলেন তখন তাঁদের মুখগুলো আন্ন্দ অশ্রুতে খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল।
তাদের দাবী লোকমান বাবুর উদ্যোগে অনেকদিন পর শান্তিতে একমুঠো ভাত খেতে পারবো।