বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ায় প্রতিবাদীদের মারধোরের অভিযোগ,জখম ৬

News Sundarban.com :
এপ্রিল ১৩, ২০২০
news-image

 

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্যানিং -ত্রাণের সামগ্রী কম দেওয়ায় প্রতিবাদ করেন গ্রামের মানুষজন। প্রতিবাদ করতেই শাসকদলের লোকজন বেপরোয়া হয়ে লাঠী,ইট, মদের বোতল দিয়ে উপভোক্তা গ্রামবাসীদের বেধড়ক মারধোর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় উভয় পক্ষের ছয়জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাংরাখালি আঁধলা দাসপাড়ায়। ঘটনায় গুরুতর জখমরা হলেন দিলীপ দাস,প্রফুল্ল দাস,বিপুল দাস,প্রমিলা সাহা,নারায়ণ দাস ও যমুনা দাস। আহতরা সকলেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য দেশ জুড়ে চলছে করোনার তান্ডব।করোনা কে আটকাতে ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের জেরে সাধারণ দরিদ্র মানুষজন পড়েছেন ঘোরতর সংকটে। দরিদ্র দুঃস্থ মানুষজনেরা কখন একবেলা কখনওবা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। আর এমনই সংকট ময় পরিস্থিতি ক্যানিং মহকুমার প্রায় সর্বত্র।ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাংরাখালি আঁধলা গ্রামের দাস পাড়ার বাসিন্দাদের অবস্থা বর্তমানে করুন। সেই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা শিপ্র সরদার দরিদ্রদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেন। এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যা একটি করে কুপন দিয়ে দেন পরিবার পিছু। কুপনে লেখা রয়েছে উপভোক্তা চাল পাবেন আড়াই কেজি এবং আলু পাবেন দেড় কেজি।সেইমতো গ্রামের মানুষজন রবিবার ত্রাণের চাল আলু নিতে যায়।কুপনে উল্লিখিত ত্রাণ সামগ্রী কম দেওয়ায় প্রতিবাদ করেন গ্রামবাসীরা।বন্ধ হয়ে যায় ত্রাণ দেওয়া।সোমবার সকালে আবার ত্রাণ দেওয়া শুরু হয়। চাল আড়াই কেজির পরিবর্তে দেড় কেজি ও আলু দেড় কেজির পরিবর্তে এক কেজি দেওয়া হলে ফের প্রতিবাদে সামিল হয় গ্রামবাসীরা।অভিযোগ প্রতিবাদীদের কে শায়েস্তা করতে শাসক দলের শংকর দাস,অমর দাস,যুগল দাস,নারায়ণ দাস,গোলক দাস,পরাণ দাস,রোহিত দাস সহ জনা পঞ্চাশ লোকজন প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের উপর লাঠী,ইট,মদের বোতল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যাপক মারধোর করে।ঘটনায় দিলীপ দাস,প্রফুল্ল দাস,বিপুল দাস,প্রমিলা সাহা গুরুতর জখম হয়। জখম হয় শাসকদলের নারায়ণ দাস ও যমুনা দাস।আর এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অন্যান্য স্থানীয় গ্রামবাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।অন্যদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যদিও এমন ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে রাজী নন শাসক দলের নেতা নেত্রীরা।