মৎস্যজীবী অধুষ্যিত গ্রামে মাস্ক, সাবান স্যানিটাইজার বিতরণ
সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -করোনা ভাইরাস সচেতনতায় সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের ক্যানিং-১ ব্লকের মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজারলাট,গোলকুঠী পাড়া ও পুরাতন চাঁদনী গ্রামে প্রায় শ’পাঁচেক মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক সাবান,স্যানিটাইজার। এদিন দুপুরে রাজারলাট পাড়া এলাকার স্থানীয় মিলন সংঘের সদস্য সুজিত সাহা,রাজা ঘরামী,মাকু মন্ডল,সুনীল মন্ডলরা করোনা ভাইরাস সচেতনতায় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের কাছে আহ্বান জানান করোনা ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। কিংবা কোন প্রকার গুজবে কান দেবেন।আসুন আমরা সবাই মিলে করোনা ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলে সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি।সারা বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।পাশাপাশি ভারতে
আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে! এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।সুস্থ থাকতে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ বা পশুর দেহের মাধ্যমেই বিপজ্জনক আকার ধারণ করে করোনা ভাইরাস।তাই ভিড় থেকে দূরেই থাকাই শ্রেয়। অযথা ভিড় না করে ভিড় এড়িয়ে চলুন।এদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কয়েকশো মৎস্যজীবী নদী,খাল,বিলে মাছ,কাঁকড়া ধরতে যাচ্ছে না।তারা বাড়ির মধ্যেই আছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সতর্ক করছেন করোনা ভাইরাস নিয়ে।আর সেই বার্তাকে সমর্থন করে কয়েকশো মৎস্যজীবী পরিবার সতর্ক ভাবে চলাচল করছে এবং যা যা করণীয় তাই করছে তারা।এদিকে সুন্দরবনের যেমন অগাধ অরণ্য অসংখ্য নদী সংস্থান এই অঞ্চলকে সর্বত্র ভীষণ ও ভীতপ্রদ করে রেখেছে।তারও চেয়ে ভয়ঙ্কর করে রেখেছে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ।তবে বর্তমানে চিত্রটা উল্টো।এখন একটাই আকাশ-বাতাস সহ আসমুদ্র হিমাচল কাঁপিয়ে সুন্দরবনের অলি গলিতে নোভেল করোনা ভাইরাস কড়া নাড়ছে।আর এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে আজও তারা স্বপ্ন দেখে সোদা মাটির নোনা জলে জালের ফাঁক দিয়ে।অগত্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ র নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন এই সমস্ত গ্রামের মৎস্যজীবীরা।