করো না আতঙ্কে একজোট সুন্দরবন সহ সমগ্র দেশ
সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -কোন রাজনৈতিক দল বাংলা বনধ্ কিংবা ভারত বনধ্ ডাকলে তেমন ভাবে সাড়া মেলে না।একে অপরের বিরোধিতায় স্বল্প হলে ও জনজীবন গতিশীল থাকে।সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে করোনা ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে।আর এই করোনা আতঙ্ক মোকাবিলা করার জন্য ধর্মবর্ণ,রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সুন্দরবন সহ সমগ্র দেশ এক ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য তৈরী হয়েছে।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জনতা কার্ফুতে প্রায় সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষজন সাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলার জন্য এমন জনতা কার্ফু যদি আরো কয়েক সপ্তাহ পালন হয় তারজন্যও কোন রকম অসুবিধা হবে না বলে সাধারণ মানুষজনের মতামত।
উল্লেখ্য রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের নদীপথ,রেলপথ,সড়কপথ গুলি জনশূন্য।এমনকি বাজারহাট সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ।মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেই না।তবে এখন পর্যন্ত রেল পথে বাইরের রাজ্য দিল্লী, মহারাষ্ট্র,গুজরাট, কর্ণাটক,উত্তপ্রদেশ,হরিয়ানা ১৭ জন ক্যানিং ষ্টেশনে নামেন।তাদের বাড়ি বাসন্তী, সন্দেশখালি, কুলতলি, ক্যানিং-২ ব্লকে মঠেরদিঘী।ক্যানিং রেলওয়ে ষ্টেশনে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের নামের তালিকাভুক্ত করেন পাশাপাশি ক্যানিং হাসপাতালে পাঠায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য।অন্যদিকে করোনা ভাইরাস বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলেন।এদিকে জনতা কার্ফু তে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জনশূন্য।রাস্তাঘাট,ষ্টেশন সম্পূর্ণ ভাবে সুনসান।সুন্দরবনের জলপথে লঞ্চ, নৌকা, ভুটভুটি চলাচল করছে না।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন ট্যুর।এখনও পর্যন্ত শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন আপ আর ডাউন ট্রেন চলাচল করে।তবে যাত্রী একেবারেই নেই বললে চলে। একই অবস্থা জলপথ ও সড়ক পথগুলিতে।ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করে সাধারণ মানুষজন জনতা কার্ফু কে জনশূন্য করে তোলেন এদিন।