শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা ভাইরাস আটকাতে সতর্কতা এবং সচেতনা শুরু করলো মাতলা ২ পঞ্চায়েত

News Sundarban.com :
মার্চ ১২, ২০২০
news-image

ক্যানিং -মোবাইল ফোনের রিংটোন থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে এখন একটি মাত্র আলোচ্য বিষয় করোনা ভাইরাস।বর্তমানে সারা বিশ্ব আতঙ্কিত এই ভাইরাসঘটিত রোগের জন্য।

এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে একমাত্র সতর্কতা এবং সচেতনতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরী।
সেই সতর্কতা এবং সচেতনতার বার্তা দিয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে পথে নামলো ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস ও তাঁর সহযোগী সাধারণ মানুষজন।
করোনা ভাইরাস নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ গুলি আতঙ্কের প্রহর গুনছে।সেই আতঙ্ক থেকে ভাইরাস ঘটিত এই রোগের প্রতিষেধক তৈরী করার জন্য বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশ বিদেশে বিঞ্জানীরা।
আর যাতে করে এলাকার লোকজন করোনা আতঙ্কে না ভোগেন তার জন্য করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আটকাতে সচেতনতার বার্তা দিয়ে পথে নামলেন ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত।বৃহষ্পতিবার সকালে ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন স্কুলের সামনে হাজীর হয়ে কয়েক হাজার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিলেন মাক্স ও হাত ধোওয়ার সাবান,জলের বোতল এবং কলম।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস আতঙ্ক দূর করতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মাক্স ও জীবাণুমুক্ত সাবান বিতরণ করেন ।পাশাপাশি করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ভয় হওয়ার কিছু নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুস্থ জীবন যাপন সুস্থতার কারণ।চারিদিকে ভাইরাস বাতাসে মিশে আছে। তাই সব সময় মাক্স ব্যবহার করা উচিৎ।সাথে সাথে অ্যান্টিবায়োটিক সাবান দিয়ে হাত দিয়ে ধুয়ে খাবার দাবার খাওয়া উচিৎ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা এবং বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।তাছাড়া যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা উচিৎ নয়।এদিন এমন সচেতনতার বার্তা দিয়ে ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কে সচেতন করেন।এদিন এই সচেতনতা কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন মাতলা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অরিত্র বোস,সমাজসেবী ফারুক আহমেদ সরদার সহ অন্যান্যরা। এদিন সকালে বিদ্যালয়ের সামনে এমন সচেতনতা লক্ষ্যকরেন ক্যানিংয়ের ডেভিড সেশুন হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা জানিয়েছেন এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আগামীদিনে সর্বত্র এমন সচেতনতার প্রয়োজন।

উল্লেখ্য ইতিমধ্যে ইউনিসেফ জানিয়েছে করোনা ভাইরাস বিশাল আকৃতির ভাইরাস, যার কোষের প্রস্থ ৪০০-৫০০ মাইক্রোমিটার। সুতরাং যে কোনও মুখোশ যেটা এই আকারের বস্তুকে প্রতিহত করতে পারে এবং সেটা ব্যবহার করলেই হবে।ফার্মাসিস্টদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
এই ভাইরাসটি বায়ুবাহী নয়, আকারে বড় ও ভারী বলে এটা মাটিতে পড়ে থাকে।
করোনা ভাইরাস যখন ধাতব কোনো পৃষ্ঠের উপর পড়ে তখন এটি ১২ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কাপড়ের উপরে পড়লে ৯ ঘন্টা, সরাসরি শরীরে লাগলে ১০ মিনিট পর্যন্ত বাঁচতে পারে এই ভাইরাস।ফলে সাবান এবং জল দিয়ে ভালোভাবে জামাকাপড়, শরীর পরিষ্কার করলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব।
এছাড়াও এই ভাইরাস টি যদি ২২°-২৭° ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চলে আসে,তবে এটি মারা যাবে। কারণ এটি গরম অঞ্চলে বাস করে না। এছাড়াও গরম জল খেলে এবং সূর্যের আলোয় থাকলে করোনাভাইরাস কার্যকর হতে পারে না।
আবার বিশেষ করে আইসক্রিম থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন এবং ঠান্ডা আবহাওয়া পরিহার করা উচিৎ।
সাথে সাথে উষ্ণ- লবণজলে গার্গল করলে করোনাভাইরাস মরে যায় এবং টনসিল ও ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে না।
ফলে একটু সতর্ক হলেই এই করোনা ভাইরাস প্রতিহত করা খুবই সহজ।ফলে অযথা গুজবে কান না দিয়ে ভয় কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।