শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যানিংয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন

News Sundarban.com :
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
news-image

 

সুভাষ চন্দ্র দাশ , ক্যানিং -ক্যানিং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে পালিত হল আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস।শুক্রবার সকালে শহীদ বেদীতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জোলনের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক তথা নাট্য ব্যাক্তিত্ব নির্মল কুমার সামন্ত। অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং ডেভিড সেশুন উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলে শিক্ষক যাদব চন্দ্র বৈদ্য,ও ক্যানিং মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারীক আইনূল হক সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলতে পারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সেই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করলো তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর।

উল্লেখ্য ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ভাষা ।আর এই ঘোষণা হওয়ার পর পূর্ব বাংলা অধিকৃত তৎকালীন পাকিস্তানের মধ্যে হওয়ার। পূর্ব বাংলায় বসবাস কারি মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পরবর্তীকালে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফ্রেবরুয়ারি, বাংলা (৮ই) ফাল্গুন। বাংলা ভাষাকে নিজেদের মাতৃভাষা করার দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে জেনে তৎকালীন সরকার ঢাকা শহরে মিটিং, মিছিল বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ১৪৪ ধারা জারি করে। ১৪৪ ধারা জারি অমান্য করে ১৯৫২ সালে ২১ ফ্রেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীরা একত্রিত বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলন কারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে বহু আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। ২২ ও ২৩ শে ফ্রেব্রুয়ারি ছাত্র, শ্রমিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সহ সকল স্তরের মানুষ পূর্ণ হরতাল পালন করে এবং সভা, শোভাযাত্রা সহকারে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে। বহু আন্দোলনের পর ১৯৫৬ সালে ২৯ শে ফ্রেব্রুয়ারি সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরে ১৯৯৯ সালে ১৭ ই নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশন বসে। সেখানে ইউনেস্কোর ২৮ টি সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদের প্রস্তাব কে সমর্থন করে।বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষিত হয়।