বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আগামিকালের বনধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে রাজ্যকেই:হাইকোর্ট

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ৭, ২০২০
news-image

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), বেসরকারিকরণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিবাদে কাল, বুধবার গোটা দেশে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে শ্রমিক, কৃষক সংগঠন, বাম-কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল। তবে আগামিকালের বনধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে রাজ্যকেই। মঙ্গলবার রাজ্যসরকারকে এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধে আইন-শৃঙ্খলা কোনও অবনতি যাতে না হয় তার দিকেও নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রকেও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবারের বনধে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী। তারই ভিত্তিতে আজ এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

অন্যদিকে, বনধ ব্যর্থ করতে তৎপর রাজ্যসরকার। ধর্মঘটের দিন সব সরকারি কর্মীর হাজিরা নিশ্চিত করতে প্রতি বারের মতো এবারও নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের অর্থ দফতর। পাশাপাশি নবান্নে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ৮ জানুয়ারি বনধের দিন রাজ্য সরকারের সব কর্মচারীকে অফিসে আসতে হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে বাম ও বিরোধীদের ডাকা বনধের দিন ছুটি পাবেন না সরকারি কর্মীরা। শুধু তাই নয় বনধের আগের দিন অর্থাত্ ৭ জানুয়ারি ও বনধের পরের দিন ৯ জানুয়ারিও আসতে হবে অফিসে।

ওই তিন দিন অফিসে না এলে করা হবে শো-কজ। কাটা হবে বেতন ও ছুটি। অফিস আসার বাধ্যবাধকতা থেকে বাইরে রাখা হয়েছে  অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, কোনও নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুজনিত কারণকে। এছাড়াও মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রেও এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে না। যদিও এসবের মধ্যেই ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্য়াহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। প্রকোপ পড়তে পারে