শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাখিদের আশ্রয়স্থল তৈরী করলো গ্রামবাসীরা

News Sundarban.com :
জানুয়ারি ৫, ২০২০
news-image

ক্যানিং:  বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ সুন্দরবন।আর এই সুন্দরবন মানে পশুপাখি বাদাবন আর জলাজঙ্গল। বর্তমানে সবটাই শেষ হতে চলেছে, রাতের অন্ধকারে বেআইনি ভাবে গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে আয়লা, ফণি, বুলবুল বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় একাধিকবার আছড়ে পড়ছে সুন্দরবনের উপর।এমনকি শীতের মরশুমে সুন্দরবনে পরিযায়ী পাখিদের আসা-যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে এক প্রকার।যেমন অবলুপ্ত হতে চলেছে চড়ুই,কাঁক,দোয়েল টুনটুনি পাখিরা।এরা গাছেই বাসা বাঁধতো এবং প্রায়ই স্থায়ী ভাবে থাকতো।এই সমস্ত পাখিগুলো বাঁচার তাগিদে মানুষের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।পরে পরে বৃক্ষ বাসা বাঁধা চড়ুই, কাঁক,দোয়েল, টুনটুনি লুপ্ত হয়ে গেছে আমাদের সমাজ থেকে।কাঁক পাখিটি আমাদের সকলেরই এক ডাকে চেনা। যাকে বলা হয় সাথী ঝাড়ুদার পাখি। সুন্দরবনে পর্যটন কেন্দ্র হলেও এখন আর কাকের আনাগোনা দেখা যায় না। প্রায় অবলুপ্ত হতে চলেছে।এই সবুজ বাদাবন ও নদী ঘেরা সুন্দরবন কে রাষ্ট্রপুঞ্জ জীবমণ্ডল ও আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যময় ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা হলেও সেদিকে খেয়াল করছে না সরকার। অবলুপ্ত হতে চলেছে কিছু বিরল প্রজাতির পাখি। সুন্দরবনের বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এলাকার পাখিদের কথা মাথায় রেখে তাদের বাসস্থান তৈরী করেছেন সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের জয়গোপালপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বেশকিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন পরিবেশ প্রেমী মানুষজন।উল্লেখ্য বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য গৃহ লোন,শস্যবীমা করে দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু যাদের কথা কেউ ভাবেনি,সেই সমস্ত পাখিদের জন্য বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া ব্যবস্থা করছেন এলাকার মানুষজন।পাখিরা যাতে বসবাস করে কলবর করে সেই অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এলাকার বিভিন্ন গাছে গাছে বাসা তৈরী করে দিয়েছেন।আর এমন অভিনব কাজ দেখে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষজন।