শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘পাকিস্তানে যাও’ উত্তরপ্রদেশের মেরঠে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে: পুলিস সুপার অখিলেশ নারায়নকে

News Sundarban.com :
ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
news-image

‘পাকিস্তানে যাও’ উত্তরপ্রদেশের মেরঠে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলতে শোনা যাচ্ছে পুলিস সুপার অখিলেশ নারায়নকে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর অখিলেশ নারায়নের বক্তব্য,”পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিলে সেখানেই চলে যাও। এতে ভুল কী করেছি?”

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ। ওই বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে এসপি বলছেন, ”এখানে কোনও গন্ডগোল হলে চড়া দাম চোকাতে হবে। প্রতিটা ঘরের একজন পুরুষকে জেলে পুরে দেব। এখানে থাকতে না চাইলে পাকিস্তান চলে যাও। এখানে এসে অন্য দেশে জয়গান করছো। পাড়ার প্রতিটা গলি আমি চিনি। তোদের ঠাকুমার কাছেও পৌঁছে যাব”। পুলিস সুপারের এমন হুঁশিয়ারি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কিন্তু  অখিলেশ নারায়নের পাশে দাঁড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস।  এডিজি প্রশান্ত কুমার বলেন,”পাথর ছোড়া হয়েছে। ভারতবিরোধী, পড়শি দেশের দেশের স্লোগান দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি খুব খারাপ। পিএফআই-র পুস্তিকা বিলি হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের আবেদনেও সাড়া দেয়নি বিক্ষোভকারীরা।” তিনি আরও বলেন,”পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসপি এমন কথাবার্তা বলতেন না। আমাদের অফিসাররা ধৈর্য্য দেখিয়েছেন। গুলি চালাননি।”

এসপি অখিলেশ নারায়ন স্পষ্ট বলেন, ”কয়েকটা ছেলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছিল। আমি ওদের বলি, তোরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছিস, ভারতকে এতটা ঘৃণা করিস যে পাথর ছুড়ছিস, তাহলে পাকিস্তানেই চলে যা। ওদের সনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছি।”

উত্তরপ্রদেশ CAA বিরোধী বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে ২১ জন। অশান্তি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনৌ, কানপুর ও মেরঠের মতো শহরে।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লখনৌয়ে বলেছিলেন,”নিরাপদ পরিবেশ আমাদের আধিকার। নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের সমস্ত নাগরিককে বলতে চাই, স্বাধীনতার পর আমরা নিজেদের অধিকার চেয়েছি। কিন্তু এবার নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।”