শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মমতা থাকতে পারবেন না শিবাজি পার্কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ অনুষ্ঠানে

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২৮, ২০১৯
news-image

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে।  ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা থাকতে পারবেন না অনুষ্ঠানে। পাঠাবেন প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার, বাল ঠাকরের অন্ত্যেষ্টিস্থল, মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে, শপথ নেবেন, উদ্ধব ঠাকরে।  ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। নেমন্তন্ন পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান থাকায় উদ্ধবের শপথগ্রহণে থাকতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর প্রতিনিধি থাকবেন বলে খবর।

শপথের আগে বুধবার দফতর বণ্টন নিয়ে শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা আহমেদ প্যাটেল ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। সূত্রের খবর, উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অজিত পওয়ার ও কংগ্রেসের
বালাসাহেব থোরাট। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লিতে গিয়েছেন আদিত্য ঠাকরে।  তাঁরা থাকবেন না বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

শিবসেনা ও বিজেপি জোট করে নির্বাচনে লড়াই করলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বে দাবি নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। ৫০-৫০ শর্তে জোট হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা দাবি করে, আড়াই আড়াই বছর করে দু’দলের মুখ্যমন্ত্রী থাকবে মহারাষ্ট্রে। প্রথম পর্যায়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও আড়াই বছর পর তাঁকে সরে দাঁড়াতে হবে। আর সেটা লিখিত দিতে হবে বিজেপিকে। কিন্তু উদ্ধবের শর্ত মানতে রাজি হয়নি গেরুয়া শিবির। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে হাত তুলে দেয় মোদীর দল। এরপর এনসিপি-কংগ্রেসকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে শিবসেনা। তিন দলের জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরের নামে পড়ে শিলমোহর। কিন্তু পরেরদিনই সাত সকালে এনসিপি থেকে অজিত পাওয়ারকে ভাঙিয়ে  শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব পান অজিত পাওয়ার। কিন্তু, ৭২ ঘণ্টা পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। অজিত পাওয়ার ইস্তফা দিয়ে ফিরে যান গেরুয়া শিবিরে। বাধ্য় হয়ে ইস্তফা দেন ফড়ণবীস।

বলে রাখি, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। এনসিপি ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪। ১০৫টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গঠনের জাদু সংখ্যা ১৪৫। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোট করে আসন দাঁড়াবে ১৫৪টি।