বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জীবনতলা বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত​ ১৬২০ জন মহিলা পেলেন ত্রাণ

News Sundarban.com :
নভেম্বর ২২, ২০১৯
news-image

বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং-২ ব্লকের জীবনতলা বিডিও অফিস প্রাঙ্গণে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬২০ জন মহিলার হাতে ত্রাণের সামগ্রিক তুলে দেয় জেলা শাসক পি উলগানাথন,ক্যানিং মহকুমা শাসক বন্দনা পাখোরিয়া,ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সওকাত মোল্ল্যা,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহামুদা সেখ।এদিনের অনুষ্ঠানে বিধায়ক সওকাত মোল্ল্য বলেন বিগত ৮ নভেম্বর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এমনকি ধান পান চাষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাক সবজি,মৎস্যচাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ঝড়ের দাপটে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে হাজার হাজার গাছ পালা,বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়।

রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরেও দেখেন এবং কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করেন।তিনি কড়া নির্দেশ দেন ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।বিধায়ক সওকাত মোল্ল্যা আরও বলেন বুলবুল ঝড়ের দাপটে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত ১৬২০ জন মহিলার হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হল।পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে মৃত ১০ জন কৃষক পরিবারের সদস্যদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে কৃষক বন্ধু চেক তুলে দেওয়া হয় এবং ৫০ জন পরিবারকে জমির পাট্রা প্রদান করা হয়।স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাঁস মুরগী তুলে দেওয়া হয় স্বনির্ভর হয়ে ওঠার জন্য।বিধায়ক সওকাত মোল্ল্যা বলেন ২০০ জন পরিবারকে শীতের বস্ত্র,৫০০ জন পরিবারকে ত্রিপল,৫০০ জন ছাত্রীকে হ্যারিকেন, কেরোসিন তেল,৩০০ জন ছাত্রীকে বই,খাতা,কৃষকদের চাষের জন্য বিভিন্ন প্রজাতির ডাল তুলে দেওয়া হয়।এমনকি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র স্কুলগুলিকে তুলে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক ফ্যান ও লাইট।জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেন “বেশ কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে।এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে হ্যারিকেন,কেরোসিন তেল বই খাতা সহ পড়াশুনার সরঞ্জাম,সাইকেল।বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পায় তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”এদিনের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।